1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
ভোলাহাটে এক গাছেই অর্ধশতাধিক মৌচাক - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে-রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বান্দরবানের ৩ উপজেলার ভোট স্থগিত শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন জনসমর্থনে এগিয়ে নাটোরে দেলোয়ার হোসেনকে সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা নাটোরে তিন উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ নাটোরে ত্রিমুখি সংঘর্ষ ॥ এক চালকের মৃত্যু গোমস্তাপুরে বিনামূল্যে ধানের বীজ ও সার বিতরণ শিবগঞ্জে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে বন্ধে কর্মশালা

ভোলাহাটে এক গাছেই অর্ধশতাধিক মৌচাক

বি.এম রুবেল আহমেদ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৬৩৭ বার পঠিত

ভোলাহাটে এক গাছেই অর্ধশতাধিক মৌচাক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে বিলের রাস্তার ধারে যেতেই চোখে পড়ে পাইকড়ের গাছ। আর এই গাছেই অর্ধশতাধিক চাক বেঁধেছে মৌমাছিরা। একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য প্রতিদিনই এই গাছটির কাছে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। কেউ কেউতো আবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে এক-দুই-তিন করে গুনতে শুরু করেন চাকের সংখ্যা। এমনই দৃশ্যের দেখা মেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার কানসাট-ভোলাহাট সড়কের সোনাজল এলাকায়। এই পাইকড়ের গাছটি দেখভাল করেন গাছ সংলগ্ন ওই এলাকারই সেভেন স্টার নামের একটি ইট ভাটার মালিক ও কর্মচারীরা। তাদের দাবি, প্রত্যেক বছরের ৫-৬ মাস এখানে মৌমাছিদের বিচরণ থাকে। জানা যায়, বিলে এখন সরিষা চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। ওই সরিষার ক্ষেত থেকে মৌমাছিরা মধু আহরণ করে নিয়ে আসে। ফলে মৌমাছির গুনগুন ধ্বনিতে গাছতলা ও আশপাশ মুখরিত হয় সব সময়। রাস্তার ধারের পাইকোড়ের গাছটিতে রয়েছে ৫০টিরও বেশি মৌচাক রয়েছে। সাধারণত মৌমাছিরা ৫-৬ মাসের জন্য গাছটিতে বাসা বাঁধে। আবার যখন আম গাছে মুকুল ফোটার সময় হয় তখন অন্য এলাকায় গিয়ে চাক গড়ে তোলে। সেভেন স্টার নামক ইট ভাটার মালিক রাফিজুল হক ডাবলু বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমরা দেখছি এই গাছটিতে মৌমাছিরা চাক তৈরি করছে। বড়ই ফুল আসার সময় মৌমাছিরা এখানে আসে। তার আগে আমরা গাছের ডাল পালাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করার পর মৌচাকগুলো আরও তিন-চার মাস থাকে। যখন আম গাছে মুকুল আসার সময় হয় তখন মৌমাছিরা চলে যায়। স্থানীয় কৃষক শামসুল হক প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই গাছটিতে মৌচাক বসতে দেখি। গাছের প্রায় সব বড় ডালেই চাক বাঁধে মৌমাছিরা। একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সাধারণত দেখা যায় না। অনেকেই এই গাছে অপরিপক্ক থাকা অবস্থায় মধু সংগ্রহ করতে আসলেও, ভাটা মালিকদের তদারকির কারনে তা পারে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা নেচার এর প্রধান সমন্বয়ক রবিউল হাসান ডলার বলেন, এক গাছে এত মৌচাক সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় মৌমাছিদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই মৌমাছিরা যাতে র্নিভিঘ্নে মৌচাক তৈরি ও মধু সংগ্রহ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতাল আলী জানান, রাস্তার ধারের পাইকোড়ের গাছটিতে ৫০-৬০টি মৌচাক রয়েছে। যতটুক জেনেছি ১০-১৫ বছর ধরে এই গাছে মৌমাছিরা বাসা বাঁধে। এই দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। নিজ চোখে না দেখলে বলে বোঝাতে পারবো না দৃশ্যটি দেখতে কতো সুন্দর। কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরণের ফসল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছিরা এখানে আসে। এতে ফসলের পরাগায়নে মৌমাছির ভূমিকা রয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় এবার মাঠে ৯০০ মৌ বক্স বসিয়েছে মৌয়ালরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!