করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন নেয়া অতীব জরুরী। সারাদেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনা ভ্যাকসিনের ১ম, ২য় ও ৩য় (বুষ্টার ডোজ) দেয়া হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর হতে শুরু হয়েছে ৪র্থ ডোজ (২য় বুষ্টার ডোজ প্রদান। ৪র্থ ডোজ প্রদান শুরু হলেও গত ২০ দিনে ৪র্থ ডোজ গ্রহনের হার খুবই কম। জেলায় যাদের ৩য় ডোজ নেয়া হয়েছে, তাদেরকে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ৪র্থ ডোজ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ। তিনি ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সারাদেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতেও শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ৪র্থ ডোজ বা দ্বিতীয় বুষ্টার ডোজ। ৬০ বছরের উর্ধ্বে যে কোন নাগরিক বা ৬০ বছরের নীচে এবং ১৮ বছরের উর্ধ্বে যাদের ৩য় ডোজ নেয়ার চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, তাদেরকে এই ৪র্থ ডোজের টিকা গ্রহন করতে বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ফ্রন্টলাইনার, কোভিড যোদ্ধা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ অন্যান্য যারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকেন, তাদের সকলকে ৪র্থ ডোজের টিকা গ্রহনের আহবান জানান সিভিল সার্জন।
তিনি আরও বলেন, জেলায় করোনা প্রতিরোধক করোনা ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ গ্রহন করেছে ৮৯ ভাগ এবং ২য় ডোজ টিকা গ্রহনকারী ৭৬ ভাগ অতিক্রম করেছে। এজন্য তিনি সচেতন জেলাবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ১ম, ২য়, তয় ডোজ গ্রহন করার মত ৪র্থ ডোজ গ্রহন করতে জেলাবাসীকে আহবান জানান। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত (গত ২০ দিনে) প্রায় ১ হাজার জন ৪র্থ ডোজ টিকা গ্রহন করেছে। যা সন্তোষজনক নয়। জেলায় পর্যাপ্ত করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিনের ৪র্থ ডোজের টিকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে চীন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা ভাইরাস অমিক্রম ধরনের উপধরন বিএফডট ৭ ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সেক্ষেত্রে এ জেলায় এর বিস্তৃতির বহুমুখী সম্ভাবনা আছে। সেজন্য সকলকে ৪র্থ ডোজের টিকা নিয়ে সুরক্ষিত থাকার আহবান জানান তিনি।
সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রহমান জানান, জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল এবং নাচোল, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট এবং গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪র্থ ডোজের টিকা প্রদান করা হচ্ছে। জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, জেলায় করোনা বিস্তৃতি কম, যা সন্তোষজনক। গত প্রায় ২ মাস যাবত জেলায় কোন করোনা পজিটিভ রোগী ধরা পড়েনি। করোনা টেস্টের কাজ চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন করোনা রোগী পায়নি। সিভিল সার্জন জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি সবসময় মেনে চলতে হবে। করোনার নতুন অমিক্রম ধরনের হাত হতে রক্ষা পেতে আমাদের আগের মতই মাস্ক পরিধান করতে হবে, জনবহুল এলাকা, ভিড় পরিহার করে চলতে হবে। সর্বোপরি, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।