জয়পুরহাটে প্রতারণার মাধ্যমে ৬টি বিবাহ করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান (২৮) কে আটক করাসহ ৫ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে জয়পুুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার সকালে র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোস্তফা জামান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। আটককৃত মেহেদী হাসান জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঞ্চাতীপাড়া কেন্দুলী গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে। র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার ২০ জানুয়ারি সদর উপজেলার জামালপুর গ্রামের মেহেদী হাসানের কথিত পঞ্চম স্ত্রী জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন, তার স্বামী মেহেদী হাসান (২৮), লতিফ (২৫) ও মিন্টু হোসেন (২৪) তারা নিজেদেরকে ঠিকাদার, ইজারাদার ও বিত্তশালীরপরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিয়ে করেন। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাজ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। পরে অন্য এলাকায় গিয়ে একইভাবে প্রতারণার কাজ করেন তারা। অভিযুক্তরা তারা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের ভাই বা আত্মীয় বা সাক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কাজ করত। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের মূলহোতা মেহেদীর কথিত পাঁচ নম্বর স্ত্রী গত ২০ জানুয়ারি জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ কাম্পে এসে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্প থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সত্যতা পায়। পরে ২৬ জানুয়ারি সকাল ১১ টার দিকে অভিযুক্ত মেহেদীর কথিত পঞ্চম স্ত্রীর ভাই র্যাব ক্যাম্পে ফোন দিয়ে বলে যে মূলহোতা মেহেদী ও তার সহযোগীরা মিলে তার কথিত ষষ্ঠ শশুর বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর এলাকায় তার বোন, ভাগ্নে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। এমন সংবাদ পেয়ে জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এবং অভিযুক্ত প্রতারক চক্রের মূলহোতা মেহেদীকে আটক করে ও তার কথিত পঞ্চম স্ত্রী তার দুই বাচ্চা সন্তান এবং শাশুড়িকে উদ্ধার করে। এসময় প্রতারক চক্রের অন্য দুই সদস্য লতিফ এবং মিন্টু র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।