চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে রাস্তায় চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ট ভ্যানচালকরা। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোমস্তাপুর থানা পুলিশের শরনাপন্ন হয়েছেন গোমস্তাপুরের অটোভ্যান চালকরা। বৃহষ্পতিবার ভ্যান চালকরা একযোগে উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী, মাধাইপুর, যাঁতাহারা, আড্ডা, ধুলিউড়া, রহনপুর ও খোয়ারমোড় এলাকায় প্রতিদিন চাঁদাবাজির শিকার হন অভিযোগকারীরা। ৫০ জন ভ্যান চালক স্বাক্ষরিত এক অভিযোগে তাদের দাবী যাত্রী নিয়ে এসব মোড়ের উপর দিয়ে কোন ভ্যানচালক ভ্যান নিয়ে গেলেই বাধ্যতামূলক ১০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। আর এতে অস্বীকৃতি জানালে নানাভাবে হয়রানী ও অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়। অটোভ্যান চালকের পক্ষে অভিযোগকারী গোমস্তাপুর উপজেলার ছোট দাদপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম জানান, প্রায় শতাধিক ভ্যান চালকদের কাছ থেকে জোর করে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করার প্রতিকার চেয়ে বাধ্য হয়ে তারা প্রশাসনের শরনাপন্ন হয়েছেন। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গরীব মানুষ হয়ে কেউ সংসারের কিছু বেচে, আবার কেউ চড়া সুদে এনজিও থেকে লোন নিয়ে ভ্যানগাড়ি কিনে সেখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালায়। তাছাড়া ভুটভুটি, অটো, সিএনজিসহ নানান ধরনের যানবহন হয়ে যাওয়ায় তাদের যাত্রী কমে গেছে। প্রতিদিন তাদের গড়ে ৪’শ থেকে ৮’শ টাকা আয় হলেও বিভিন্ন খরচের পাশাপাশি গড়ে ১’শ টাকা করে বিভিন্ন চাঁদায় চলে যায়। এতে করে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই প্রশাসনের শরনাপন্ন হয়েছি আমরা। এ ব্যাপারে সোনাইচন্ডী বাজারের চাঁদা উত্তোলনকারী চেইন মাষ্টার মামুন জানান, এ বাজারে রেজিষ্ট্রারভূক্ত রিক্সা ভ্যান অটো সমিতির মাধ্যমে (যার রেজি: নম্বর- ০০১৫) সপ্তাহে একদিন করে ১০ টাকা হারে চাঁদা নেয়া হয়। তবে কোন রশিদ দেয়া হয়না। বিনিময়ে এসব যানবহনকে সিরিয়াল ধরে যাত্রী ধরে দিয়ে সহযোগীতা করা হয়। অপরদিকে, রহনপুর বাজারে চাঁদা উত্তোলনকারী তুষারও একই ধরনের মন্তব্য করেন। কোন অটো ভ্যানচালক কে জোর করে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গোমস্তাপুর থানার ওসি কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।