জয়পুরহাটে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী বিজিবি সদস্য ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার বিকেলে জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে (সদর) হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আতিকুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। বিজিবি সদস্য ফিরোজ বান্দরবান থানচি ৩৮ ব্যাটালিয়নের বলিপাড়া ক্যাম্পে দায়িত্বরত ছিলেন। সে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা এলাকার ইদ্রিসের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা গ্রামের সুজাউলের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া সুরভীর সাথে বিজিবি সদস্য ফিরোজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছুটিতে এসে যৌতুকের দাবিতে ফিরোজ তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ দিতো। সুরভী যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ফিরোজ। সে সময় বিজিবি সদস্য ফিরোজ চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত থাকা অবস্থায় অন্য একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সুরভীর সাথে সংসার করবেনা বলে জানায়। এরপরে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে মোবাইলে ও এসএমএসে ওই মেয়েকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করে ফিরোজ। মামলার বিবরণে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর সুরভী মানসিক চাপ সইতে না পেরে বাবার বাড়ির ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে সেই ছবি তুলে ফিরোজকে দেয়। বিজিবি সদস্য ফিরোজ সেই ছবি দেখে বলেন, ‘তোর মতো মেয়ের দরকার নাই আগে মরে যা, আমি সরকারি চাকরি করি আমার কিছুই হবেনা’। একথা শোনার পর মেয়েটি আবেগে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়। এসময় পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।