চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবৈধ ও অনিবন্ধিত এনজিও মধুমতি থেকে টাকা ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভূক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ ও সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপি চলা এ কর্মসূচিতে ৫ শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেন। এ সময় অনেকে মধুমতি এনজিও ও এর পরিচালক মাসুদ রানা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং আমানতের টাকা ফেরতের দাবী সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে কর্মসূচীতে অংশ নেয়।
অংশগ্রহণ কারীরা গ্রাহকের টাকা ফেরত না দিয়ে হয়রানীর শিকারের প্রতিবাদে মধুমতি গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং অনেক কষ্টে অজিত আমানতের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান বক্তারা। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ কারী তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি অনেক কষ্ট করে দিনমজুরের কাজ করে ৪ লাখ টাকা আমানত রেখে সে টাকা পাচ্ছেন না। তিনি দ্রুত টাকা ফেরতের দাবী জানান। অপর অংশগ্রহণ মমিন জানান, আমাদের কষ্টের টাকা মেরে দিয়ে অস্ত্র মামলায় জেলে অসুস্থতার ভান করে আরাম আয়েশে থাকা মাসুদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আগে থেকেই পরিকল্পনা করে অস্ত্র মামলায় নিজেই আটকের নাটক সাজিয়ে জেলখানায় ঢুকেছে। যেন পাওনাদারকে টাকা দিতে না হয় বা ঝামেলা পোহাতে না হয়। মধুমতি এনজিওর মালিক মাসুদ মানুষের টাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। এর কঠোর ব্যবস্থা হওয়া জরুরী। অপর ভুক্তভোগী রুবেল হক মধুমতি সহ একের পর এক এনজিও মানুষের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে থাকায় প্রশাসনকে এসব এনজিও গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ জানান। শেষে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে উপজেলা নিবাহী অফিসারের নিকট একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গতবছরের ১৭ নভেম্বর মধুমতি এনজিও পরিচালক মাসুদ রানা অস্ত্রসহ গোমস্তাপুরে গ্রেফতারের পর গ্রাহকদের আমানতের প্রায় কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এর কয়েকমাস আগে নিবন্ধনের শর্ত ভাঙ্গার অভিযোগে এ এনজিওটির সমবায় কার্যালয় থেকে পাওনা নিবন্ধন বাতিল করা হয়।