1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারী পলিটেকনিকে ছাত্রী কোটায় ছাত্র ভর্তি! শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারী পলিটেকনিকে ছাত্রী কোটায় ছাত্র ভর্তি! শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৭ বার পঠিত

আবাসন ও অব্যবস্থাপনাকেই দূষছেন ছাত্রীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারী পলিটেকনিকে ছাত্রী কোটায় ছাত্র ভর্তি! শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রী কোটায় ছাত্র ভর্তির অভিযোগ উঠেছে। অব্যবস্থাপনা, আবাসন সমস্যা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই মুলত এখানে ছাত্রীরা ভর্তি হতে অনাগ্রহী। আর এতে করে ছাত্রীদের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয় না। প্রযুক্তি শিক্ষায় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রীরা যখন ইর্শ^নীয় সাফল্য বয়ে আনছে ঠিক এ সময় একেবারেই ভিন্ন চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থাপিত ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি। বর্তমানে ৬টি প্রযুক্তি বিভাগে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করছে। আসন সংখ্যা এক হাজার দুই’শ। প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী মোট আসনের ২০ শতাংশ সংরক্ষিত ছাত্রীদের জন্য। কিন্তু ছাত্রী না পাওয়ায় আসন পূরণ করা হয় ছাত্র দিয়ে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবাসন সমস্যা, বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে ছাত্রীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয় না। এ ছাড়া শিক্ষকরাও ছাত্রী ভর্তির বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন না। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ইনস্টিটিউটের কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী জানায়, ভর্তির পর থেকেই নানামুখি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। শ্রেণীকক্ষ ছাত্রদের উপস্থিতিতে গমগম করলেও ছাত্রী থাকে হাতেগোনা। ফলে ক্লাস করতে অনেকটায় সংকোচ বোধ হয়। এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, একে তো শহর থেকে বেশ দূরে পলিটেকনিকের অবস্থান, অথচ আমাদের নিজস্ব কোনো ছাত্রী হোস্টেল নেই। এমনকি আশপাশে ব্যক্তিমালিকানায় ছাত্রীনিবাসও নেই। যে কারণে বাড়ি থেকে যাতায়াত করতে হয়। ক্যাম্পাসে অনেক সময় ইভটিজিংয়ের শিকারও হতে হয় আমাদের। শিক্ষকদের আন্তরিকতা বিষয়ে ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকরাও আমাদের গুরুত্ব দেয় না। নারী শিক্ষার্থী বাড়াতে শিক্ষকদের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষিকা আফিদা রহমান বলেন, মেয়েরা এমনিতেই কারিগরি শিক্ষায় আগ্রহী নয়। তারপর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার অভাব, আবাসিক সুবিধা না থাকায় ও ব্যবহারিক ক্লাস বেশি হওয়ায় মেয়েদের আগ্রহ কম। ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী এ জেড এম মাসুদুর রহমান তার প্রতিষ্ঠানে কোন অব্যবস্থাপনা নাই দাবী করে জানান, ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকলেও বর্তমানে ছাত্রীর সংখ্যা ৪-৫ শতাংশ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে শিক্ষার্থীর এই হার অনেক কম। আগামীতে ছাত্রী ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!