বর্তমানে দেশ-বিদেশে ব্যাপক স্বনামধন্য এবং দেশের প্রথম সারির সংবাদ গণমাধ্যম মিডিয়া প্রতিষ্ঠান দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা ও ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনে ভুয়া সনদ দিয়ে সাংবাদিকতার চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি মো. শামিম কাদির নামে এক চাঁদাবাজ হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে তার অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। জেলার গণমাধ্যম কর্মীদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত মো. শামিম কাদির জয়পুরহাট টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ভোকেশনাল থেকে ২০০৮-ইং সালে সি জি পি এ ৩.৫ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে অন্য একটি সিটি কলেজ ইনস্টিটিউট থেকে ২০১০-ইং সালে সি জি পি এ ৩.৪ নিয়ে এইচ এস সি পাশ করেন। তবে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এস এস ২০১৫ সালে ২.৬০ জি পি পেয়ে পাশ দেখালেও তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পাশের যে সনদ অফিসে জমা দিয়েছেন, তার আইডি নম্বর ০৮০২৩৩৩০৪১ আর সিরিয়াল নাম্বার ১৪১৩৬৬৫। অথচ এই আইডি দিয়ে অনলাইনে দেখা যাচ্ছে, সুমাইয়া হায়দার নামে একজন মেয়ে। তার পিতার নাম সুলতান মেহেদী হায়দার, আর মাতার নাম দেওয়া রয়েছে আকলিমা হায়দার। জাতির বিবেকধারী মহৎপেশাকে কলঙ্ক কারী এই ভুয়া ডিগ্রিধারী সাংবাদিক জাতির জন্য কতটা নিরাপদ এমন প্রশ্ন এখন সর্বমহলে। শুধু কি তাই ভুয়া সার্টিফিকেটধারী এই শামীম কাদির নিজেকে বড় দুটি সংবাদ মিডিয়ার সাংবাদিক পরিচয়ে দিয়ে দিনরাত চৌশে বেড়াচ্ছে জয়পুরহাটের সরকারি, বে-সরকারি দপ্তর গুলোসহ জেলার প্রতিটি অলিগলি,মহৎপেশার পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় তার যেন এটা নৃত্যদিনের সঙ্গী।শুধু তাই নয় সে নিজেকে বড় মিডিয়ার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের তোষামোদি করে ভাড়াটিয়া সাংবাদিক হিসেবে চলেন। পাশাপাশি জেলার সকল প্রশাসন মহল, বিভিন্ন দপ্তরসহ জনসাধারণের কাছে জেলার ছোটবড় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ায় কর্মরত অন্যান্য পেশাজীবী গণমাধ্যম কর্মীদের হেয়ু করে একমাত্র তারই দুটি মিডিয়া ছাড়া দেশের সকল মিডিয়া গুলো তার চোখে মূল্যহীন মিডিয়ার সাংবাদিক বলে সর্বস্তরে সমালোচনা করাও তার একটি পেশা। জেলার অন্যান্য সাংবাদিকদের নামে সমালোচনা করাসহ তার চাঁদাবাজি’তে অতিষ্ঠ বর্তমানে জেলার সর্বমহল। এ বিষয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,শামীম কাদির নামে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী নেই। সে এক মেয়ের সনদ পত্র জাল করেছে। তিনি আরও বলেন এতে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনামক্ষুন্ন হচ্ছে, আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। আইনে বলা আছে যদি কেউ জাল জালিয়াতি করে তবে ৪৬৭ ধারার অধিনে এটি দন্ডনীয় অপরাধ। ধারায় বলা হয়েছে ৪৬৬ ও ৪৬৭ ধারানুযায়ী এ অপরাধে ৭ বছর পযন্ত শাস্তির বিধানও রয়েছে। তবে অভিযুক্ত মো. শামীম কাদিরের সঙ্গে জেলার কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীরা কথা বললে তা নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন। শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার জানান, মো. শামীম কাদির নামের ২০১৫ সালের স্নাতক ডিগ্রি পাসের কোন ছাত্রের ওই নামের সিরিয়াল আইডি সঠিক নয়’সে হয়ত জালিয়াতি মাধ্যমে এই সনদ বানিয়েছে। মূলত অর্থের বিনিময়ে একটি চক্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে। এটি ভুয়া একটি সনদ। জেলা জুড়ে অতিষ্ঠ এই জালিয়াতিবাজ সাংবাদিক পরিচয় দানকারী মো. শামীম কাদিরের জাল সনদ দেখিয়ে সাংবাদিকতা করার বিষয়টি যখন সর্বমহলে প্রকাশ পেলে জেলার আরও অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা তার ব্যবহিত মুঠোফোনে ০১৭১৬৫৯৭৬৮৪ এই নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার এই ব্যবহারিক মুঠোফোনের নম্বরটি বন্ধ দেখায়। কে-? এই শামীম কাদির কি তার পরিচয়, কোথা থেকে উত্থানসহ তার বিরুদ্ধে চেক ডিজনার মামলাসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগ গুলো দ্বিতীয় পর্বে প্রকাশ করা হবে।