চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এর অভিযানে ঘটনার ১৮ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত ২ জন আটক করেছে। পরকীয়া প্রেমে ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব বিপিএম পিপিএম (বার) এর দিক-নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটন এর জন্য তদন্তে নামে। লাশের পাশে থাকা একটি প্লাস্টিকের দড়ির সূত্র ধরে ভিকটিমের ৩য় স্ত্রী লালবানুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
এদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোমস্তাপুর (সার্কেল) এর নেতৃত্বে ভিকটিমের ৩য় স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে তার নিজ বাড়ীতে চা স্টল এর দোকান করত। সে সুবাদে বাড়ীর পাশের ইট ভাটার ম্যানেজার শাকির এর সাথে তার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মার্চ মাসে শাকির এনায়েতপুর বাজার থেকে তার নিজ নামে রেজিষ্ট্রেশন কৃত একটি নতুন সিম কার্ড ও মোবাইল কিনে ভিকটিমের স্ত্রী লালবানু কে দেয়। এভাবে গোপনে চলতে থাকে লালবানু ও শাকিরের পরকীয়া প্রেম কাহিনী। ভিকটিমের অগোচরে তার স্ত্রী অতি গোপনে শুধুমাত্র ঐ মোবাইল দিয়ে শাকিরের সাথে কথা বলত এবং কথা বলা শেষে মোবাইল টি লুকিয়ে রাখত। কিছুদিন আগে ভিকটিম বিষয়টি টের পেলে তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং প্রেমিক শাকিরকে গালিগালাজ করে সাবধান করে দেয়। যার ফলশ্রুতিতে সাকির খুব রাগান্বিত হয় এবং ভিকটিমকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। অপরদিকে ভিকটিম তার স্ত্রীকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায়
মারধর করত। যার ফলে ভিকটিমের স্ত্রী তার প্রেমিকের কথায় সহজে রাজী হয়ে যায় এবং ভিকটিমকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা নেয়। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাতে ভিকটিম তার শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পড়লে ভিকটিমের স্ত্রী ও প্রেমিক শাকির রাত্রী ১১:০০ থেকে ১২:০০ ঘটিকার মধ্যে ভিকটিম কে বালিশের উপরে দেওয়া কাঁথা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ভিকটিমের দুই পা চেপে ধরে তার স্ত্রী এবং গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে প্রেমিক শাকির। অতঃপর ঘটনার মোড় অন্যদিকে ধাবিত করতে লালবানু ও শাকির ভিকটিমের মরদেহ কাধে করে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে রাস্তার পাশে রেখে আসে। ভিকটিমের স্ত্রীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রেমিক শাকিরকে আটক করা হয়।