মহামারী করোনার ভাইরাসের কারণে সারাদেশের ন্যায় রহনপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে মহামারীর কমে গেলে যাত্রীবাহী কমিউটার ও মহানন্দা ট্রেন চালু করা হলেও এখন পর্যন্ত ইশ্বরদী-রহনপুর, রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর, রহনপুর-ঈশ্বরদী যাতায়াতের লোকাল ট্রেনটি বন্ধ আছে। গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার মানুষের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের সাথে যাতায়াতের একমাত্র লোকাল এই ট্রেনটি এখন পর্যন্ত বন্ধ থাকায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে ব্যয়বহুল বাসের ভাড়া দিতে গিয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এই লোকাল ট্রেনে মানুষ স্বল্প খরচে জেলা সদরের যাতায়াত করতেন। বর্তমানে সাধারণ মানুষ গলাকাটা ভাড়া দিয়ে বাস, সিএনজির বা অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন। ফলে লোকাল ট্রেনটি চালু না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে মহামারী করোনার ভাইরাসের পূর্বে রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী ট্রেন চালু না থাকলেও এই প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজশাহী-ঢাকার টিকিট পাওয়া যেত। ওই সময় করোনা ভাইরাসের কারণে ট্রেন গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজশাহী-ঢাকার টিকিট প্রদানও বন্ধ হয়ে যায়। যা আজও রহনপুর রেল স্টেশন থেকে এই টিকেট প্রদান করা বন্ধ আছে। এছাড়া অনেক সময় মালবাহী ট্রেন ১ নম্বর প্লাটফর্মে থাকায় যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো দুই নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান করানো হয়। অথচ এই প্ল্যাটফর্মে আদৌ ছাউনি নির্মাণ করা হয়নি। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে জনসাধারণের চরম ভোগান্তি রয়েছে। জনস্বার্থে লোকাল ট্রেনটি পুনরায় চালুকরুণ, রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকাগামী একটি আন্তঃনগর ট্রেন প্রদান এবং এই রেলস্টেশন থেকে আগের মত রাজশাহী-ঢাকার টিকিট প্রদান চালু করণ ও দুই নম্বর প্লাটফর্মে ছাওনি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।