1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
মাধ্যমিকে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ শিক্ষার্থী - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অস্বচ্ছতা নজরে আসলে ফলাফল স্থগিত ॥ রাজশাহীতে ইসি রাশেদা শিবগঞ্জে নৌকা প্রার্থী ডা. শিমুলের শোডাউন ও সমাবেশ শিবগঞ্জে নৌকা প্রার্থী ডা. শিমুলের শোডাউন ও সমাবেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে হেরোইনসহ আটক ১ রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন মাহি জয়পুুরহাটে নৌকার মাঝি হলেন সামছুল আলম দুদু ও হুইপ স্বপন ঈশ্বরদীতে থেমে থাকা ট্রেনে আ’গুন আরএমপি ডিবি’র অভিযানে হেরোইন, ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধার; গ্রেফতার ২ ১২১ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত, ২০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা বিএসপির চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারও নৌকার মাঝি ৩ সাংসদ ॥ পুরাতনেই আস্থা মনোনয়ন বোর্ডের

মাধ্যমিকে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ শিক্ষার্থী

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৯ বার পঠিত

মাধ্যমিকে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ শিক্ষার্থী

৩ হাজার ৮১৮ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। দেশ ও দেশের বাইরে এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী। নয়টি সাধারণ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার। রোববার সকাল ১০টায় নয় বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে কুরআন মজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই কেন্দ্রে ঢুকতে হবে, তাই সকাল ৯টা থেকেই শুরু হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে ঢোকার প্রস্তুতি। সিট প্ল্যান দেখে নিজ নিজ আসনে বসে যায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে আসেন অভিভাবকেরাও। তাই কেন্দ্রগুলোর সামনে ছিল অভিভাবকদের উপচে পড়া ভিড়। মহামারীর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হত ফেব্রুয়ারিতে। মাঝে কয়েক বছর সেই নিয়ম ভেঙ্গে যায়। ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল সরকার। জানানো হয়, এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১টায়। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কোন সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট নিয়ম অনুযায়ী খুলবেন। পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শ্ন টিম, বোর্ডের পরিদর্শন টিম, জেলা ও উপজেলা পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ব্যতীত অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। বরাবরের মতো কেন্দ্র সচিব ছাড়া কেন্দ্রে অন্য কারও মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে না। প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার দেয়া হয়। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্নপত্র বের করে পুলিশ প্রহরায় সকল সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যান। ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরাও কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এমন কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষা বোর্ডসমূহের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনলাইনে সার্বক্ষণিকভাবে তথ্য আদান প্রদান করবে। পরীক্ষা উপলক্ষে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এর বাইরে প্রশ্নফাঁস ও প্রশ্নফাঁসের গুজব রোধে ফেইসবুক, মোবাইল ব্যাংকিং ও বিজিপ্রেসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর বিটিআরসির ও গোয়েন্দা নজরদারি থাকছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশ জানায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের ভেতরে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্তরা এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বরাবরের মত শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় বসার সুযোগ এবারও রয়েছে। এছাড়া, অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম এবং সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত পরীক্ষার্থীসহ শ্রবণ থেকে শুরু করে সব প্রতিবন্ধী অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে পরীক্ষায়। এ বছরের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে জানাতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি জানান, এবার ছাত্রদের মধ্যে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রীদের মধ্যে সংখ্যা ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ছাত্রের তুলনায় ২ হাজার ৭৬৯ জন ছাত্রী বেশি অংশ নিচ্ছে। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবছর মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন, যেখানে ছাত্রীর সংখ্যাই বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রদের তুলনায় ৮৯ হাজার ৫৩৫ জন ছাত্রী বেশি অংশ নিচ্ছে। দাখিলে বা মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন। এখানেও ছাত্রীরা এগিয়ে ৭ হাজার ১৩৫ জন। এই দুই বোর্ডের হিসাব মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষায় অগ্রগতির জানান দিলেও উল্টো চিত্র কারিগরি শিক্ষায়। এসএসসি/দাখিলে (ভোকেশনাল) মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৭ হাজার ৩৩৪ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, সেখানে ছাত্রী সংখ্যা মাত্র ৩০ হাজার ৪৩৩ জন। নয়টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরপর রাজশাহী বোর্ডে ৯১ হাজার ৫৫৭ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৮৯ হাজার ৯১৯ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৫৮ হাজার ৯৮৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৪২ হাজার ২৪ জন, যশোর বোর্ডে ৩৯ হাজার ৩৮৫ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৩৪ হাজার ২০ জন, বরিশাল বোর্ডে ২৪ হাজার ১৫৬ জন এবং সিলেট বোর্ডে সবচেয়ে কম ২৩ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৩৭ হাজার ৩২০ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। নয়টি শিক্ষাবোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মোট ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৮ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৮১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। মোট ৩ হাজার ৮১০ কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষা হচ্ছে। গতবারের চেয়ে এবার কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। এবার ২৯ হাজার ৭৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বসছে। গতবারের তুলনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি। এবছর দেশের বাইরে আটটি কেন্দ্র হচ্ছে এসএসসি ও সমানের পরীক্ষা। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় পরীক্ষায় অংশ নেবে ৮৯ জন, রিয়াদে ৫১ জন, ত্রিপলিতে ৪ জন, দোহায় ৭৭ জন, আবুধাবীতে ৪১ জন, দুবাইতে ২৭ জন, বাহরাইনে ৬৫ জন, সাহামে (ওমান) ২০ জন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এ পরীক্ষা হচ্ছে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে এর মধ্যে শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে মে মাসের ৩০ তারিখে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ৩০ এপ্রিল থেকে ২৫ মে। আর ২৭ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ৩ জুন শেষ হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত চলবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু ২৫ মে, শেষ হবে জুন মাসের ৪ তারিখ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা হবে, বলে দাবী সংশ্লিষ্টদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2022 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!