বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নাচোল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় থানায় মামলা করেছেন বাঘা থানায় কর্মরত সহকারি উপ-পরদির্শক (এ.এস.আই) নাসরিন আাক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপর ১২টার দিকে পৌর এলাকার চেয়ারম্যান পাড়া মহল্লায় কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীনের বাড়ীতে। পরে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে নাসরিন আক্তার কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। হেলালকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিন্টু রহমান। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, প্রায় ৬ বছর আগে নাচোল থানায় কর্মরত ছিলেন নাসরিন আক্তার। সেই সুবাদে পরিচয় হয় চেয়ারম্যান পাড়ার হেলাল উদ্দীনের সঙ্গে। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় ছয় বছর আগে বিয়ে হয় নাসরিন আক্তারের। তাঁদের সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে নাসরিন রাজশাহীর বাঘা থানায় কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি ছুটি নিয়ে স্বামী হেলাল উদ্দীনের বাড়ীতে আসেন নাসরিন আক্তার। এরপর থেকেই যৌতুকসহ নানান বিষয় নিয়ে নির্যাতন করা হত তাঁকে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে ব্যাপক মারধর করলে আহত হয় নাসরিন। পরে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়া হয়। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিন্টু রহমান জানান, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীনের স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা নাসরিন পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে তাঁকে উদ্ধারে সহায়তা চান। খবর পেয়ে থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত নাসরিন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। দুপুরেই কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।