শিবগঞ্জে এক প্রতারক মহিলার বিরুদ্ধে অন্য এক মহিলার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছে। ভুক্তভোগী মহিলা হলো, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত মজলুর রহমানের বিধবা স্ত্রী মুস্তারী বেগম এবং প্রতারক মহিলা হচ্ছে জেলার কানসাট ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে পাখি খাতুন। প্রতিকার চেয়ে ওই ভুক্তভোগী মহিলা শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমাজ সেবা অফিসার বরাবর আবেদন করেছে। ৭ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার বরাবর মুস্তারী বেগমের স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি আবেদন সুত্রে জানা গেছে, বিধবা মুস্তারী বেগমকে-পাখি খাতুন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের একজন কর্মচারী পরিচয় দিয়ে তাকে ও তার আশেপাশের লোকজনের (বিধবা, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা) সুবিধাভোগীর ভাতার কার্ড করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের নিকট হতে জনপ্রতি আট হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত টাকা নিতে বলে। তার কথা মত মুস্তারী বেগম অনেকের নিকট হতে টাকা নিয়ে পাখি খাতুনকে কয়েক দফায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও সুবিধা ভোগীর কার্ড করে না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইলে নানা ধরনের টালবাহনা করে। পরে জানতে পারে যে, পাখি খাতুন সমাজ সেবা অফিসের কেউ নয়। সে আসলে একজন প্রতারক। ভুক্তভোগী তার আবেদনে আরো বলেন, যে পাখির কথা মত যাদের নিকট হতে সুবিধাভোগীর কার্ড করে দিবে বলে টাকা নিয়েছে, তারা আমার ওপর ভীষণ চাপ দিতেছে। এমনকি আমার বাড়িতে গিয়ে তারা গালিগালাজ ও হুমকী দিতেছে। এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস ও শিবগঞ্জ নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত বলেন, আবেদন পেয়েছি। সঠিক তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।