বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাআভাসে দেশের ২৭ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এই তাপপ্রবাহের বাড়ার বিষয়টি জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, সামনে সাগরে একটি লঘুচাপ তৈরির সম্ভাবনা আছে। মে মাসে স্বাভাবিকভাবেই গরম তাপমাত্রার আবহাওয়া বয়ে যায়। এখন যে তাপপ্রবাহ বইছে তা মৃদু তাপপ্রবাহ। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৮ জেলাসহ ঢাকা, মাদারীপুর, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে এই মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে। বৃষ্টি হওয়ায় এক দিন আগেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় আবার গরমের কষ্ট শুরু হয়েছে মানুষের। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পূর্ব অংশে একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন বা ঘূর্ণিচক্র তৈরি হয়েছে, যেখান থেকে সোমবার একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে এবং পরদিন তা ঘনীভূত হয়ে নির্মচাপে পরিণত হতে পারে। সেই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে জানিয়ে ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সেই ঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ কী হতে পারে, সে বিষয়ে লঘুচাপ সৃষ্টির পর ধারণা দেবেন তারা। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসও মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল। ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে মোখা (গড়পযধ), এটা ইয়েমেনের দেওয়া নাম। সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত কমার প্রবণতার পাশাপাশি তাপমাত্রা বাড়ার আভাসও রয়েছে। এপ্রিল মাসে ৪ এপ্রিল-১২ এপ্রিল মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এবং ১৩ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল তীব্র এবং ২৪ এপ্রিল ৩০ এপ্রিল মৃদু থেকে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। মে মাসের শুরতে পাঁচ জেলায় দু’দিন তাপপ্রবাহের পর লঘুচাপের আগে ফের শনিবার থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।