চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রায় ২ হাজার মুচি পরিবারের চলছে চরম দূর্দিন। বর্তমানে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত এদের পরিবার। সমস্যা ও সংকটে পড়ে তারা পৈত্রিক পেশা ছেড়ে বেকার হয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের মুচি সম্প্রদায়ের এক বিরাট অংশ চর্মশিল্পে নিয়োজিত। এরা হাট বাজারে গ্রাম-গঞ্জে, রেলস্টেশন, রাস্তার ধারে বসে পথচারিদের জুতা স্যান্ডেল সেলাই ও রং করে থাকে। সেই সাথে চামড়ার ব্যাগ বা সাইকেল ও রিকশার টায়ার মেরামতের কাজও করে।
আবার কেউ কেউ ছোট ব্যাগ বা বাক্স নিয়ে ট্রেন ও বাসে এবং গ্রাম-গঞ্জে বেরিয়ে পড়ে ফেরিওয়ালার মত বিভিন্ন এলাকায়। লোকজনের বাড়ি বাড়ি ও ট্রেন বাসে ঘুরে জুতা সেলাই ও কালি করে। অতীতে জেলা বিভিন্ন উপজেলায় জুতা তৈরির জন্য মিনি কারখানা ছিল। এদের তৈরি জুতা, স্যান্ডেলের কদরও ছিল যথেষ্ট। কিন্তু দেশী বিদেশী বড় বড় কোম্পানীর আধুনিক কারখানা থেকে প্রস্তুত সৌখিন ডিজাইনের জুতা-স্যান্ডেলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় এসব ছোট ছোট কারখানার অধিকাংশই বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ নদীর চরের পানিতে ভাসমান ও মাঠে ঝেপেঝাড়ে মরে থাকা বেওয়ারিশ পশুর চামড়া তুলে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দু’পয়সা আয় করতো; কিন্তু এখানেও বিপত্তি! তাদের এ আয়ের পথটুকু চলে গেছে অন্যের হাতে। গ্রাম এলাকার এক শ্রেণীর কসাই এখন মরা চামড়া সংগ্রহ করে থাকে।