খুলনায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১২’শ থেকে ১৩’শ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। খুলনা সদর থানার এস.আই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন বলেন, শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১২০০/১৩০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সোহেল রানা(২০), গাজী সালাউদ্দীন(৪২), মোঃ আতাউর রহমান(৪৮), মোঃ সেকেন্দার শেখ(৬০), মোঃ শাইখুল মোল্যা(৩৪), মোঃ ওয়াহিদ শেখ(৩২), মোঃ রাসেল(২৪), রাব্বি চৌধুরী(২৯), মাহবুব গাজী (২৬), মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), মোঃ রাজু শেখ(৪১), মোঃ আলিফ মিলন (৩১) ও মোঃ রাসেল (২৭)। শুক্রবার বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, সমাবেশে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে।