ঈশ্বরদী—পাবনা মহাসড়কের দু’পাশে মরা ও শুকিয়ে যাওয়া গাছ কাটার টেন্ডার নিয়ে মরাগাছ কাটার পাশাপাশি তাজা গাছ কাটার অভিযোগ ওঠেছে। ইতোমধ্যে ৯টি তাজা রেইনট্রি কড়ই গাছ কাটা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঢুলটি এলাকা থেকে তাজা গাছের গুড়ি জব্দ করেছে। বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন প্রতিবেদককে জানান, ঈশ্বরদী—পাবনা মহাসড়কের দু’পাশে ২—৩ দিন হলো মরা ও শুকিয়ে যাওয়া গাছ কাটা শুরু হয়েছে। ঠিকাদারের লোকজন মরা গাছের পাশাপাশি ৯টি তাজা রেইনট্রি কড়ই গাছও কেটেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ৯টি কেটে ফেলা তাজা গাছ জব্দ করেছে।
তিনি আরও বলেন, গাছগুলো খুবই স্বল্প মূল্য বিক্রয় করা হয়েছে। মহাসড়কের দু’পাশের গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রির আগে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে গাছের মূল্য নির্ধারণ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এসব গাছ টেন্ডারের আগে বন বিভাগকে জানানো হয়নি। গাছগুলোর সর্বনিম্ম দাম ৪ লাখ টাকা। অথচ মাত্র ৭১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী—পাবনা মহাসড়কের দু’পাশের ৫৯ টি মরা ও শুকনো রেইনট্রি কড়ই গাছ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের আরববি কালচারাল সেকশনাল উপ—বিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদ কার্যালয় গাছ বিক্রির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কুষ্টিয়ার মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৭১ হাজার টাকা দর প্রদানের মাধ্যমে ওয়ার্ক অর্ডার পান। ঠিকাদার বকুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী লিটন জানান, শুকনো ও মরা গাছ কাটার জন্য লোকজনকে পাঠিয়েছি, তারা কেন তাজা গাছ কেটেছে তা আমার জানা নেই। আর যেন তাজা গাছ না কাটা হয় সেদিকে খেয়াল রাখবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মরা ও শুকনো গাছ কাটার সাথে তাজা গাছ কাটছে বলে খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।