নাটোর সদর হাসপাতালে ঢুকে আহতদের উপর হামলার সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের হাতের রগ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত তিনজনকে পাঠানো হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতে জরুরি বিভাগের ভেতরে ও হাসপাতালটির সামনে এ ঘটনা ঘটে। হাতের রগ কেটে দেওয়া দুজন হলেন, আল আমিন ও হাবিব। আহত অন্যরা হলেন মুমিন, আনসার সদস্য বদর উদ্দিন। আহত বাকি একজনের নাম জানা যায়নি। নাটোর থানার পুলিশ ও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে সদর হাসপাতালের সামনে পশ্চিম কান্দিভিটুয়া মহল্লার বাসিন্দা আল আমিনকে তাঁর প্রতিপক্ষ মোমিন আলী, হৃদয় খান জীবন, হাসানসহ পাঁচ থেকে সাতজন যুবক কুপিয়ে জখম করেন। পরে আহত আল আমিনকে নাটোর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হলে রাত সাড়ে নয়টার দিকে হৃদয় খান ও মুমিন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর আবার হামলা করেন। তাঁরা আল আমিনকে কুপিয়ে হাতের রগ কেটে দেন। এ সময় হামলাকারী মুমিনও আহত হয়েছেন। জরুরি বিভাগে হামলা ঠেকাতে এগিয়ে এলে কর্তব্যরত আনসার সদস্য বদর উদ্দিন আহত হন। হাসপাতালের কর্মচারীরা দুই পক্ষকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্ষের দরজা লাগিয়ে আত্মরক্ষা করেন। খবর পেয়ে সদর থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত আল আমিন, মুমিন ও হাবিবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) সামিউল ইসলাম ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে সামিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের ভেতরে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়েছে। সবাই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, আহত দুজনের হাতের রগ কেটে দেওয়ার ঘটনায় তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সংযত করা হয়। আহত ব্যক্তিদের রাজশাহীতে পাঠানোর নিরাপত্তা দিয়েছেন। পুলিশ অপরাধীদের আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।