সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৫তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে উপজেলা আ.লীগ কার্যালয়ে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেখ কামালের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা সভা এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সাবেক সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান মাখন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ফজলুল হক ভাষানী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফ মীর্জা, সাবেক ঢাকা বনানী থানা আ.লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সেলিমসহ শ্রমিক লীগ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার ভাই, বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের অন্যতম পথিকৃৎ এবং আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতিও ছিলেন শেখ কামাল। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ কামাল ঢাকা থিয়েটার এবং লোকগানের মিউজিক্যাল ব্যান্ড দল স্পন্দন শিল্প গোষ্ঠীরও একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি আজাদ বয়েজ ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগে ক্রিকেট এবং স্পার্স ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগে বাস্কেটবলও খেলতেন। একজন ক্রীড়া সংগঠক ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শেখ কামাল। কামাল ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন এবং লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে শেখ কামালের ঘটনাবহুল জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।