নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না … রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। বুধবার সকাল ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয় বলে তার ছেলে আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস নিশ্চিত করেছেন। আব্দুল কুদ্দুস পাঁচবার সংসদে নাটোরের বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। সপ্তম সংসদে তিনি মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাওন শাহরিয়ার জানান, সংসদ সদস্য কুদ্দুস আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তার শ্বাস-কষ্টজনিত সমস্যাসহ আরো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা ছিল। রোববার নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আব্দুল কুদ্দুস। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ভর্তি করা হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউতে) নেওয়া হয়। সেখানেই সকালে তার মৃত্যু হয়। আব্দুল কুদ্দুসের জন্ম ১৯৪৬ সালে। তিনি নাটোর গুরুদাসপুরের খুবজীপুর ইউপির বিলশা এলাকার প্রয়াত হায়াতুল্লাহ সরদারের ছেলে। আওয়ামীলীগের প্রবীণ এই নেতা ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। ছিলেন রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি। পরে বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন আবদুল কুদ্দুস।