1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
শহীদ মিনারে হামলাকারী মতি (ডিসি)’র বিচার হয়নি ৩০ বছরেও ॥ স্বাক্ষরজ্ঞান নিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গণঅভ্যুত্থানে পলাতক বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনের অরাজকতা আর নয় নতুন ইটভাটা ॥ বন্ধ হচ্ছে দেশের ৩৪৯১টি ইট ভাটা-পরিবেশ উপদেষ্টা নিউইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস হবিগঞ্জে মানহানি মামলায় খালাস তারেক রহমান সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার-কারাগারে প্রেরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণ পঞ্চগড় সীমান্তে বিজিবির স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও মতবিনিময় সভা পোরশা ঘাটনগরে মাদক নির্মূলে সমাবেশ গোদাগাড়ীতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন সিপিডির ফাহমিদা খাতুন

শহীদ মিনারে হামলাকারী মতি (ডিসি)’র বিচার হয়নি ৩০ বছরেও ॥ স্বাক্ষরজ্ঞান নিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৮৭৫ বার পঠিত

সাংসদের সুপারিশে সভাপতি ॥ ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী

শহীদ মিনারে হামলাকারী মতি (ডিসি)’র বিচার হয়নি ৩০ বছরেও ॥ স্বাক্ষরজ্ঞান নিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্বাক্ষরজ্ঞান মতিউর রহমান ওরফে (নামধারী) মতি (ডিসি)’র বিরুদ্ধে শহীদ মিনারে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৩০ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাও হয়নি মতি (ডিসি)’র। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এর সুপারিশে বিতর্কিত এই ব্যক্তি সভাপতি হয়েছেন ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার। স্বাক্ষরজ্ঞান একজন ব্যক্তি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিত মানুষদের প্রতিনিধিত্বকারী গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে নানা গুঞ্জন। ১৯৯৩ সালে শহীদ মিনারে হামলাকারী ও নেতৃত্বদানকারী মতিউর রহমান ওরফে মতি (ডিসি) (৬০) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের বামুনগাঁও গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
এমন বিতর্কিত ও স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিকে সুপারিশ করে মাদ্রাসার সভাপতি করা বিষয়ে জানতে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও প্রতিবেদকের ফোন ধরেন নি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। কৌশল করে কোন কারণ ছাড়ায় তফসীল মোতাবেক নির্ধারিত তারিখ ০৫/০৮/২৩ থাকলেও, ওই তারিখে গভর্নিং বডি নির্বাচন না করে পরের দিন ০৬/০৮/২৩ তারিখে নির্বাচন করা হয়। এছাড়াও ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ আব্দুল কাদের মন্ডল কে কোন কিছু অবহিত না করেই এই নির্বাচন করা হয়েছে এবং নির্বাচনের জন্য কোন স্বাক্ষর পর্যন্ত নেয়া হয়নি এডহক কমিটির সভাপতির বলেও অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ উপায়ে সম্পন্ন করা হয় গভর্নিং বডির কমিটি নির্বাচন।

এই মতিউর রহমান অরফে মতি (ডিসি), নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য, যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তখন সে সরকারী দলের সাথে মিশে গিয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন জলকর ব্যবসার সাথে জড়িত এই মতি (ডিসি) এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন তার রাজত্ব। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিভিন্ন জলকর নিজে ইজারা নেয়া এবং অন্যকে ইজারা নিয়ে দেয়ার যোগসাজসের হোতা হওয়ায় মতিউর রহমান কে দীর্ঘদিন থেকেই মতি ডিসি বলে সবাই ডাকে এবং জানে। বিশেষ করে জেলার মাছ চাষী বা মাছ ব্যবসায়ীরা মতি ডিসি না বললে তাকে চিনতেও পারে না। এভাবেই জলকর এর দালালী করেই গড়ে তুলেছেন নিজের রাজত্ব ও সম্পদ। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছেন সকল কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি মতিউর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এর সুপারিশে সভাপতি হয়েছেন ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার। এলাকায় অনেক শিক্ষিত ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি থাকলেও এমন একজন স্বাক্ষরজ্ঞান ও বিতর্কিত মানুষকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মনোনয়ন দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু শহীদ মিনারে হামলা নয়, পারিবারিকভাবে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত এই তথাকথিত নামধারী নিরক্ষর ডিসি মতিউর রহমান ওরফে মতিকে সম্প্রতি ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এলাকাবাসী।
শহীদ মিনারে হামলার ঘটনাটি দীর্ঘ ২ যুগ পার হয়ে গেলেও আজও বিচারের মুখোমুখি করতে পারেনি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের সক্রিয় সদস্য এই ভূয়া ডিসি মতিকে। সুবিধাবাদী পন্থায় যখন তখন রাজনৈতিক নেতা পাল্টিয়ে সুবিধা ভোগ করা, এলাকায় তার নেতৃত্বে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চললেও ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনা এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বৃদ্ধসহ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এই মতিউর রহমান ওরফে ভূয়া ডিসি মতি কোনদিন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রও ছিলনা। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে কাজ বাগাতে কাজ করলেও নিজ নামের স্বাক্ষরটিও ভালোমতো করতে পারেনা মতি। উচ্চ শিক্ষা তো দূরের কথা? সেই কিনা এখন সমাজের নেতা, বিভিন্ন অপকর্মের হোতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতিসহ আরও কতো কি। সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি, ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সভাপতি করেছে এই নিরক্ষরকে। আমরা ধিক্কার জানাই, একজন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষকদের সাথে কিংবা পাশে বসার নুন্যতম যার যোগ্যতা নাই, সে কি করে সভাপতি হয়। কোন কিছুর বিনিময়ে সভাপতি হলে তো এমন অযোগ্য নিরক্ষর ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বিক্রি করে ফেলবে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি ওয়ার্ড সদস্য মোঃ এরফান আলী বলেন, ১৯৯২ সালে ধাইনগর ইউনিয়নের ০১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হই। ধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদ বা ইউনিয়নের কোথাও শহীদ মিনার না থাকায় পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউপি পরিষদ চত্বরে দেশের শহীদদের স্মরণে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষের পর ১৯৯৩ সালের প্রথম দিকে হঠাৎ করেই মতিউর রহমান মতি (ডিসি) স্থানীয় জামায়াতের লোকজন নিয়ে এসে শহীদ মিনারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় শহীদ মিনারের কয়েকটি পিলার ও নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় এবং উল্লাস করে চলে যায়। অথচ দীর্ঘদিন পার হলেও এমন কাজের কোন বিচার বা ব্যবস্থা হয়নি। সে শুধু স্বাধীনতা বিরোধী নয়, সে একজন রাষ্ট্রবিরোধী লোক। এমন ব্যক্তিকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃষ্ঠপোষকতা ইতিপূর্বেও করেছেন এবং বর্তমানেও করছেন।
এলাকার ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ২ জন ইউপি সদস্য বলেন, ১৯৯২ সালে ধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দেশের শহীদদের স্মরণে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষের পর ১৯৯৩ সালে মতিউর রহমান মতি (ডিসি)’র নেতৃত্বে স্থানীয় জামায়াতের লোকজন এসে শহীদ মিনারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। শহীদ মিনারের কয়েকটি পিলার ও নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। দীর্ঘদিন পার হলেও এমন কাজের কোন বিচার হয়নি।
এব্যাপারে ধাইনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আ.ক.ম তাবারিয়া চৌধূরী প্রতিবেদককে বলেন, মতিউর রহমান একজন জেলে থেকে মাছ ব্যবসায়ী হওয়া ব্যক্তি এবং কোনরকমে স্বাক্ষর করতে পারা মানুষকে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করা মোটেও ঠিক হয়নি। শিক্ষিত মানুষ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করবে শিক্ষিত মানুষ, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। কিন্তু এখানে হয়েছে উল্টোটা। এলাকায় অনেক শিক্ষিত ও বর্তমান সরকারী দলের যোগ্যতা সম্পন্ন লোক থাকলেও মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে এই অযোগ্য ব্যক্তিকে ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার সভাপতি করা হয়েছে। এতে এলাকার সরকারী দলের লোকজনসহ সচেতন মানুষরা ক্ষুদ্ধ। এছাড়াও মতিউর মতি (ডিসি) শহীদ মিনারে ভাংচুর চালানো একজন ব্যক্তি। এমন একজন স্বাধীনতা বিরোধী ও দেশ বিরোধী বিতর্কিত ব্যক্তিকে এমনটা করা মোটেও উচিৎ হয়নি। আর স্থানীয় সাংসদের মনোনয়ন নেয়ার জন্য এলাকার মোট ১০ জন ব্যক্তির নামের তালিকা পাঠানো হলেও এমন অযোগ্য ও বিতর্কিত ব্যক্তিকে সুপারিশ করাও ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমি নিজেই প্রথমে তাকে জেলা প্রশাসনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এলাকার জলকর এর ব্যবসা শুরু করায়। পরবর্তীতে সে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলার বিভিন্ন জলকর ইজারা নেয়ার ব্যাপারে দালালি শুরু করায় তাকে মতি (ডিসি) বলে ডাকে এবং সবাই চেনে।
ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, তৎকালিন ইউপি সদস্য ও মতিউর রহমানের নেতৃত্বে ভাংচুর হওয়া শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের প্রকল্প সভাপতি আলহাজ¦ আব্দুল কাদের মন্ডল বলেন, এলাকায় কোন শহীদ মিনার না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে একটি শহীদ মিনার নির্মান করা হয়। সে সময় আমি ইউপি সদস্য ছিলাম। পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমার তত্ত্বাবধানেই শহীদ মিনারটি নির্মান করা হয়। জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায়, জামায়াত পরিবারের সন্তান হওয়ায় ইর্শান্তিত হয়ে লোকজন নিয়ে এসে শহীদ মিনারটি ভাংচুর করে মতি। এলাকায় তাদের দাপট থাকায় তার বা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা হয়নি। বর্তমান সরকারী দল ক্ষমতায় আসার পরে বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও তাকে দলের কিছু নেতৃবৃন্দ আশ্রয় প্রশ্রয় দেন। ফলে তার কিছুই হয়নি। দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন তার সকল কাজ। ইতিমধ্যেই আবার এমন বিতর্কিত এবং অশিক্ষিত একজন ব্যক্তি মতিউর কে অজ্ঞাত কারণে এবং আওয়ামীলীগের নেতার প্রশ্রয়ে একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করা হয়েছে। আমি নিজেই ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি থাকলেও (যদিও আমি নিজেই সভাপতি হতে চাইনি) আমাকে পাশ কাটিয়ে এবং নানা কৌশল করে এমন লোককে সভাপতি করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বর্তমানে স্বাধীনতা পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও শহীদ মিনার ভাংচুরকারী ও জামায়াত পরিবারের মানুষ মতিউর এর বিচার না করে তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার প্রতিবাদ জানায় এবং আইনের আওতায় এনে মতিউর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে মতিউর রহমান মতি (ডিসি)র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধাইনগর ইউপি চত্বরে শহীদ মিনার হামলা ও ভাংচুর এর কথা স্বীকার করে বলেন, শুধু নাম ফলক ভেঙ্গেছিলাম। সেটা একটি অজ্ঞাত কারণে করেছিলাম। কৌশলে চৈতন্যপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার সভাপতি হয়েছেন মর্মে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে।
এব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুস সামাদ বলেন, ধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা শহীদ মিনারে হামলা ও ভাংচুরকারী জামায়াত পরিবারের সন্তান মতিউর রহমান মতি (ডিসি)র বিচার না হওয়াটা খুবই দুঃখ জনক। মতিউর শুধু শহীদ মিনার ভাঙ্গেনি, গোটা জাতির স্বাধীনতার উপর আঘাত করেছে। তারপরও এঘটনার বিচার না হওয়ায় তিনি স্তম্ভিত এবং ক্ষুদ্ধ। এছাড়াও এমন একজন স্বাধীনতা বিরোধী লোককে সহায়তা করে একটি মাদ্রাসার সভাপতি করা হয়েছে। এটাও ঠিক হয়নি। তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বর্তমান সরকারী দল ক্ষমতায় আসার পরে বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও তাকে দলের কিছু নেতৃবৃন্দ তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেন। ফলে তার কিছুই হয়নি। দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন তার সকল কাজ। ইতিমধ্যেই আবার এমন বিতর্কিত এবং অশিক্ষিত একজন ব্যক্তি মতিউর কে অজ্ঞাত কারণে এবং আওয়ামীলীগের নেতার প্রশ্রয়ে একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করা হয়েছে। আমি নিজেই ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি থাকলেও আমাকে পাশ কাটিয়ে এমন লোককে সভাপতি করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বর্তমানে স্বাধীনতা পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও শহীদ মিনার ভাংচুরকারী ও জামায়াত পরিবারের মানুষ মতিউর এর বিচার না হয়ে তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার প্রতিবাদ জানায় এবং আইনের আওতায় এনে মতিউর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!