চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আব্দুর রাজ্জাক নামের পুলিশ কনস্টেবল গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত মঙ্গলবার (০৫ আগষ্ট) চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে পুলিশ লাইন্সে আর ফিরে আসেননি তিনি। গত ৫দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন কনস্টেবল মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩০)। এদিকে, কর্মস্থলে না থাকলেও বাড়িতেও যাননি ওই পুলিশ সদস্য। পরিবারের পক্ষ থেকে এনিয়ে তাকে খোঁজাখুজি চলছে বলে জানায় পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাকের বাবা। এমনকি তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার হাট গাঙ্গোপাড়া চাঁইসারা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। গত প্রায় দুই মাস আগে ডোপ টেস্টে পজেটিভ হওয়ার কারনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সুপার বরাবর তার বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা ধার নিয়ে শোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এসএম রুবেল নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (আরআই) মো. জিল্লুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে সাক্ষ্য দিতে যায় কন্সটেবল আব্দুর রাজ্জাক। এরপর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন তিনি। সে থেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।
নিখোঁজ পুলিশ সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত চার দিন ধরে তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই। এমনকি বাসাতেও আসেনি আমার ছেলে। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি চলছে। পরিবারের কারো সাথেই কোন কথা বা যোগাযোগ নেই তার। কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে কিছুই জানি না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগোলা কল্যানপুর এলাকার বাসিন্দা এসএম রুবেল জানান, গতমাসের ১৪ তারিখে বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে আমার কাছে ১ লাখ টাকা ধার নেই কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক। এমনকি এর বিনিময়ে একটি ব্যাংক চেক, স্ট্যাম্পে সাক্ষর, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পুলিশের পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেন তিনি। ১৫ দিনের জন্য টাকা ধার নিলেও এখনও টাকা শোধ করেনি। নানারকম টালবাহানা করছিলেন গত কয়েকদিন থেকে। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তাই বাধ্য হয়েই পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল কালাম সাহিদ বলেন, গত ৫দিন ধরে পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় গরহাজির রয়েছে। সে ডোপ টেস্টে পজেটিভ থাকায় সাময়িক বরখাস্ত ছিল। অন্যদিকে, তার বিরুদ্ধে ধার নিয়ে টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।