প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের কারাদণ্ডের আদেশ প্রত্যাখান করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার সকালে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মহানগরীর মালোপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই রায় প্রত্যাখানের কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। তার দাবি, ‘আবু সাঈদ চাঁদ রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের এমপি প্রার্থী হয়েছিলেন। তাই ওই আসনের সরকার দলীয় এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জোর করে এই মামলার রায় করিয়েছেন।’
মিনু বলেন, ‘এরাই হলো জাতির শত্রু, তথাকথিত ভুয়া রাজনৈতিক ব্যক্তি, যিনি কোনদিন ছাত্রলীগ করেননি। এরা ব্যবসার নাম করে গোটা জাতিকে শেষ করে দেয়। তারই নির্মমতার শিকার আবু সাঈদ চাঁদ। ‘চাঁদ ভাইয়ের দোষ, তিনি সত্য কথা বলেন। চাঁদ ভাইয়ের দোষ, তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। শাহরিয়ার আলম ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে জোর করে রায় করান’, বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
মিনু বলেন, ‘আমরা চাঁদ ভাইকে অবশ্যই মুক্ত করে নিয়ে আসব। আমরা দেখছি আগামী ২০-২৫ দিন বাংলাদেশ কোন পথে হাঁটছে। এসব লোকদের গোণার টাইম আমাদের নাই। আমরা চাঁদ ভাই, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের সবাইকে মুক্ত করে আনব। তিনি আরও বলেন, ‘চাঁদের মুক্তির দাবিতে ও রায়ের প্রতিবাদে আগামী ১ তারিখে মহানগর ও জেলা বিএনপি মিলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করব। খেয়াল রাইখেন, দিনের পর রাত হয়, রাতের পর আবার দিন হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ, জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুনসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, নতুন স্কুল খুলে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ২০০৭ সালের একটি মামলায় গত রবিবার বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে কয়েক মাস আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। চাঁদের বিরুদ্ধে এখন সব মিলিয়ে মামলার সংখ্যা ৭০টিরও বেশি। তিনি এখন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।