রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলার দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের নিয়ে শিশু ও নারী উন্নয়ন বিষয়ক সংলাপ হয়েছে রাজশাহীতে। শনিবার সকালে রাজশাহী উপশহরে রাজশাহী ইন্ রেস্টুরেন্টে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই সংলাপের উদ্বোধন করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকগণ ও সম্পাদকদের প্রতিনিধিদের সাথে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের মডারেটর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মোঃ আনছার আলী ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান, রাজশাহীর উপ প্রধান তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন ‘দৈনিক চাঁপাই দৃষ্টি’র প্রকাশক ও সম্পাদক এমরান ফারুক মাসুম, ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’র প্রকাশক ও সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, ‘দৈনিক গৌড় বাংলা’র প্রকাশক ও সম্পাদক হাসিব হোসেনসহ বিভিন্ন জেলার সম্পাদকগণ।
সংবাদপত্র প্রকাশনায় নিজ নিজ জেলার বিভিন্ন সমস্যা ও শিশু ও নারী উন্নয়ন বিষয়ক সংবাদ বা প্রতিবেদন প্রকাশে সমস্যা ও করনীয় বিষয় তুলে ধরেন সম্পাদকগণ। উপস্থিত ছিলেন পিআইবি’র কনিষ্ট প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহআলমসহ পিআইবি’র বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সংলাপে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার ৩৫ জন সম্পাদক অংশ নেন। মহাপরিচালক বলেন, সমাজের উন্নয়নে সম্পাদকদের ভূমিকা অনেক।
বিশেষ করে মফস্বল এলাকার সম্পাদকদের ভূমিকা রাখায় সরকারের নানা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে অবদান রেখেছে। বর্তমান সরকার পিআইবি’র মাধ্যমে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের গুণগত মান উন্নয়ন করার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষন প্রদান, সাংবাদিকদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তৈরি, করোনা মহামারীতে সাংবাদিকদের আর্থিকভাবে সহায়তা করাসহ সাংবাদিকদের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আগামীতে পত্রিকার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শিশু ও নারী উন্নয়নসহ জেলার সমস্যা ও করনীয় বিষয় তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে এগিয়ে আসবেন সম্পাদকগণ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পিআইবি মহাপরিচালক। সংলাপে জানানো হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত শিশু ও নারীদের উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (৫ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় পিআইবি’র আয়োজনে ২৭৩টি শিশু ও নারী বিষয়ক কর্মশালা,পরিকল্পনা কর্মশালা, সংলাপ ও ইস্যুভিত্তিক বিভিন্ন কর্মশালায় মোট অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ৭ হাজার ৫১৫জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৬৬ জন এবং নারী ১ হাজার ৪৪৯ জন।