তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। রোববার রাতে নাটোরের সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনী ইশতেহার ও উন্নত আধুনিক নিরাপদ তারুণ্যময় এবং সমৃদ্ধ সিংড়া বিনিমার্ণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র জীবনে একজন সক্রিয়, সাহসী এবং মেধাবী সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সারা জীবন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি স্বাধীনতার পর সংবিধানে বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি গণমাধ্যমকে অনুমোদন দিয়েছেন। ফলে সংবাদপত্রের বিপ্লব ঘটেছে। পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য উপদেষ্ট্রা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের আইটিটেক এবং বঙ্গবন্ধুর দোহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। যিনি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। ফলে অনেক ইউটিউব, ফেসবুক পেজ নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারছেন। নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে তারা নিজস্ব একটি গণমাধ্যম তৈরি করেছেন। গ্রাম পর্যায়ে সাংবাদিকতায় বিপ্লব ঘটেছে। বর্তমানে অনেক পত্রিকা, অনলাইন অনুমোদন পাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান কন্টেন, ভিডিও তৈরি করছে, লাইভ করছে। শুধু মাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল ভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে বলেই আজ তা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নাটোরে সাংবাদিকতার ইতিহাসে অনেক সাংবাদিক অনেক অবদান রেখে গেছেন। তাদের এ অবদান অতুলনীয়। যা চিরকাল স্মরণ করবে মানুষ। অনেক সময় সত্য সংবাদ আমাদের তিতা হয়। আমাদের পক্ষে সংবাদ দেখলে খুশি হই, বিপক্ষে গেলে অখুশি হই। কিন্তু একটি সংবাদ সমাজের অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। বর্তমানে সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে কাজ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল গণমাধ্যমকে স্বাধীন করেছেন। সিংড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন-সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস। এসময় সাংবাদিকরা স্মাট সিংড়া বিনির্মানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে পরামর্শ প্রদান করেন।