ঢাকার সাভারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসী সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নিদের্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হাবিব কাজল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে হত্যার জেরে এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ২৭ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েক যুবক ড্যাফোডিলের বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৪ ব্যাচ) শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তরকে ডেকে একটি ব্রিজের নিচে নিয়ে যান। সেখানে মারধরের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে একটি বাজারের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যান যুবকেরা। স্থানীয়রা উদ্ধার করে অন্তরকে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অন্তরকে তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর জেরে শুক্রবার বিকেলে সাভারের খাগানে আকরান বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাহাত নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরা সাভারের বিরুলিয়া ও আশুলিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তখন এলাকাবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। হামলার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা এসে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দফায় দফায় সংঘর্ষের পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও সড়কে বাঁশ দিয়ে অবরোধ করে রাখেন। সড়কে কাঠের টুকরো ও টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।