1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
দোহাজারী-কক্সবাজার ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অস্বচ্ছতা নজরে আসলে ফলাফল স্থগিত ॥ রাজশাহীতে ইসি রাশেদা শিবগঞ্জে নৌকা প্রার্থী ডা. শিমুলের শোডাউন ও সমাবেশ শিবগঞ্জে নৌকা প্রার্থী ডা. শিমুলের শোডাউন ও সমাবেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে হেরোইনসহ আটক ১ রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন মাহি জয়পুুরহাটে নৌকার মাঝি হলেন সামছুল আলম দুদু ও হুইপ স্বপন ঈশ্বরদীতে থেমে থাকা ট্রেনে আ’গুন আরএমপি ডিবি’র অভিযানে হেরোইন, ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধার; গ্রেফতার ২ ১২১ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত, ২০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা বিএসপির চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারও নৌকার মাঝি ৩ সাংসদ ॥ পুরাতনেই আস্থা মনোনয়ন বোর্ডের

দোহাজারী-কক্সবাজার ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪৯ বার পঠিত

দোহাজারী-কক্সবাজার ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ এই রেলপথের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে পর্যটন নগরে চালু হওয়া অনেক প্রত্যাশার এই রেলপথ পর্যটনের পাশাপাশি কৃষি ও মৎস্য পণ্য আনা-নেওয়া এবং মেগা প্রকল্পের সঙ্গে সংযোগে ভূমিকা রাখবে।
শনিবার দোহাজারী-কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানের কক্সবাজার ১৫ বছর আগে এমন দৃশ্য ছিল না। আগে দালান-কোঠা এত ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা এত ভালো ছিল না। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এগুলো উন্নত করেছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসি। মাত্র পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করি। সকাল সাড়ে ১১টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথের উদ্বোধন করেন। এ স্টেশনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই হিসেবে অনুমোদানের ১৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হল। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার। উদ্বোধনের আগে বর্তমান সরকারের সময়ে রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, দোহাজারী কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিন্টিং। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেওয়া হয় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রেলে কক্সবাজার আসা যাবে, অনেকের এই আকাঙ্ক্ষা ছিল। এটা আমাদের ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প ছিল। আমরা চাই মানুষ উত্তরবঙ্গ, এমনকি পঞ্চগড় থেকে যেন কক্সবাজার ট্রেনে আসতে পারে। সেই ব্যবস্থাও আমাদের করতে হবে। রাজশাহী, খুলনা, সুন্দরবন থেকেও যেন আসতে পারে। আমরা পদ্মা পাড়ের মানুষ অবহেলিত। এখন পদ্মা সেতু করেছি। পদ্মায় রেলসেতু করেছি। পদ্মার পাড়ের মানুষও আসতে পারবে। তিনি বলেন, এই রেললাইন ঘুমধুম পর্যন্ত যাওয়ার কথা। ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সাথে সংযুক্ত হতে চাই। সেটা মাথায় রেখেই এই রেললাইন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ী এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে এই রেলপথ যাতে সংযুক্ত হয়, সে ব্যবস্থা করে দেব। ব্যবসা-বাণিজ্য আরো উন্নত হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ ও কক্সবাজার রেলস্টশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের নিয়ে স্টেশনের মূল প্ল্যাটফর্মে যান। সেখানে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। তারপর প্রধানমন্ত্রী কাউন্টারে দাঁড়িয়ে টিকেট করে লাল-সবুজ ট্রেনে চড়ে রামুর পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি বাঁশি বাজিয়ে ও সবুজ পতাকা নেড়ে নতুন ট্রেনের যাত্রা উদ্বোধন করেন।
কক্সবাজার সফরে রেললাইন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন এ তিনটিসহ মোট ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেলে মাতারবাড়ী টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2022 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!