নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রনি মোল্লা (৩২) নাটোরের গুরুদাসপুরের পুরুলিয়া এলাকার মো. হাবিল মোল্লার ছেলে। মামলার বিবরণ ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. আনিসুর রহমান সুত্র জানায়, ২০১২ সালে রনি মোল্লার সঙ্গে নাটোর সদরের শিবদুর এলাকার মো. মফিজ উদ্দিনের মেয়ে মো. রিনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রিনা খাতুনকে নির্যাতন-অত্যাচার করতে থাকে রনি মোল্লা। বিষয়টি জেনে রিনার পরিবার এক লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র উপহার দেয়। কিন্তু রনি আবারও দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকেন।এরমধ্যে এই দম্পতির সংসারে একটি ছেলের জন্ম হয়। ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রিনাকে দুই লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসতে বলে রনি। কিন্তু রিনা টাকা আনার কথা বলতে অসম্মতি জানালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রনি কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রিনাকে জখম করে। এসময় স্থানীয়রা রিনাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে তার পরিবারকে খবর দেয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোরে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় রিনা।
এ ঘটনায় রিনার বাবা গুরুদাসপুর থানায় বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে রনিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। স্বাক্ষ্য প্রমানাদী শেষে বুধবার রনিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন আদালত।