আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) নেতৃত্বাধীন ছয়টি দলের মোর্চা ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’। ইতোমধ্যে ১২১টি আসনের আংশিক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে এই জোট। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসপির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হওয়া জোটের এই আংশিক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। সুপ্রিম পার্টির নেতৃত্বাধীন লিবারেল ইসলামিক জোটের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জোটভুক্ত অন্য পাঁচটি দল হলো : বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী) এবং আশিকিনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, আমাদের জোট লিবারেল ইসলামিক জোটের পক্ষ থেকে আসন্ন নিবাচনে আমরা ২০০ আসনে প্রার্থী দিব। আজ ১২১টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রাপ্তদের আংশিক তালিকা ঘোষণা করছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো জোট থেকে নয়, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে আমাদের মার্কা (একতারা) নিয়ে নির্বাচন করব। আমরা গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে নির্বাচন করছি। সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। আমরা চাই না, দেশে কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি আসুক। বিএসপি এবং এর নেতৃত্বাধীন মোর্চা লিবারেল ইসলামিক জোটের মনোনয়নপ্রাপ্তদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আমাদের ৩০ জন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যারা বিজয়ী হতে পারেন। আমরা মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সকল সম্প্রদায় ও শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছি। আমাদের মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্য ধর্মাবলম্বীও যেমন আছে, তেমনি তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীও আছে। বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসপির এই চেয়ারম্যান বলেন, অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসলে এবং জনগণ ভোট দিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আমরা মনে করি। কোনো দলের নির্বাচনে আসা বা বর্জন করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। বিএনপিসহ নিবন্ধিত অন্য দলগুলোকে আগেও নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হলে নির্বাচন জমে না। সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সংলাপের পক্ষে ছিলাম, এখনো আছি। এখনও সময় আছে। দেশ ও জাতির দিকে লক্ষ্য রেখে, তাদের ভালো চাইলে সংলাপটা এখনও সম্ভব।’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদ্য নিবন্ধনপ্রাপ্ত বিএসপির নির্বাচনী প্রতীক ‘একতারা’। এ প্রতীকে বিএসপির নেতৃত্বাধীন লিবারেল ইসলামিক জোটের প্রার্থীরা নির্বাচন করবে।