নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, অতীতের মতো এবারো নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকরা থাকবেন। এতে নির্বাচনের স্বচ্ছ্বতা আরো বাড়বে। তবে কোথাও অস্বচ্ছতা নজরে আসলে সেখানকার ফলাফল স্থগিত করে দেওয়া হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রস্তুতি সভায় একথা জানান তিনি। রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ্ব না হলে সেটা যেমন আমাদের জন্য অপমানের লজ্জার তেমন আপনাদের অপমানের লজ্জার। নির্বাচন স্বচ্ছ্ব না হলে শুধু আমাদের কথা শুনতে হবে তা নয়; আমাদের ছেলে-মেয়েদেরও কথা শুনতে হবে; তারা বাসা থেকে বের হতে পারবে না। আমরা সবাই মিলে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এ জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন এই নির্বাচন কমিশনার। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চাইলে এখনো নির্বাচনে আসতে পারে। তবে তাদের নির্বাচনের নির্ধারিত ছকের মধ্যেই আসতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসার আগ্রহ প্রকাশ করলে কমিশন বসে আইন-কানুন ঘেটে দেখে তফসিল পুনঃবিবেচনা করার চেষ্টা করা হবে। নির্বাচন শান্তিপুর্ন করতে অনেক নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের নজির রয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা ভাবা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে বর্তমান এমপিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাদের সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। তবে দলীয় প্রার্থী হলে পদত্যাগ করার প্রয়োজন হবে না বলেও জানান তিনি। রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। সভায় রাজশাহীসহ নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সহকারি রিটানিং কর্মকর্মতারা উপস্থিত ছিলেন।