গাইবান্ধা জেলা কারাগার থেকে ২৫ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে পালিয়ে যায় জেলাখানার এক কয়েদি নাজমুল ইসলাম (২৭)। তিন দিনেও খোঁজ মেলেনি সেই পালিয়ে যাওয়া কয়েদির। এনিয়ে প্রশাসন ও বিশিষ্টজনদের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, জেল সুপারের বাসায় কাজ করতে গিয়ে পালিয়ে যায় কয়েদি নাজমুল। ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও তার কোনো খোঁজ দিতে পারেনি জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৭টার দিকে নাজমুল ইসলাম নামে কয়েদির কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি সাঘাটা উপজেলার শিমুলতাইড় গ্রামে। নাজমুল ইসলামকে একটি চুরি মামলায় কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই মামলায় কারাগারে বন্দি ছিলেন নাজমুল ইসলাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারারক্ষী ও এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, সম্প্রতি একটি চুরির মামলায় নাজমুল ইসলামকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। এরপর থেকে নাজমুল ইসলাম কারাগারের যমুনা ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন। ঘটনার দিন সোমবার ভোরে সুপারের বাসায় কাজের জন্য নাজমুলকে ডেকে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যায় কয়েদি নাজমুল। ধারণা করা হচ্ছে, জেল সুপারের বাসায় যাওয়ার সময় কৌশলে পালিয়ে যায় নাজমুল। এরই মধ্যে নাজমুলের পালানোর ঘটনায় জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, কারাগার থেকে নাজমুল ইসলামের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গাইবান্ধা কারা কর্তৃপক্ষের কেউ মুখ খোলেনি। ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিষয়টি জানতে জেল সুপার জাবেদ মেহেদী ও জেলার মো. লাবলু মিয়াকে মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তাদের কেউ ফোন রিসিভ করেনি। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।