1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
নড়াইল জেলায় অবশেষে শিল্পকলা একাডেমিতে উন্নয়নের ছোঁয়া - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

নড়াইল জেলায় অবশেষে শিল্পকলা একাডেমিতে উন্নয়নের ছোঁয়া

নড়াইল সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৩ বার পঠিত

নড়াইল জেলায় অবশেষে শিল্পকলা একাডেমিতে উন্নয়নের ছোঁয়া

নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অবশেষে উন্নয়নের ছোঁয়া পেল। শিল্পকলা একাডেমিতে বর্তমান শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী, কবি, সাহিত্যিক ও শিশু কিশোরদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমি ফিরে পেয়েছে তার হারানো ঐতিহ্য। প্রায় ১০ লক্ষ টাকার অধিক ব্যয়ে, নির্মিত হয়েছে শিশু-কিশোরদের ক্লাস-রুম, অবকাঠাম ও সংস্কারগত উন্নয়ন। সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে নিয়ে এসেছে নতুন উদ্যম। এসব কারণে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কে কুক্ষিগত করে রাখতে চাওয়া, স্বার্থন্বেষী মহলের রসানলে পড়েছে জেলা কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। অসত্য তথ্য উপাত্তের আশ্রয়ে বিভ্রান্ত করে চলেছে, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের। ইতোমধ্যেই অর্থ আত্মসাৎসহ অভিযোগে সংবাদ পত্রের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নামে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল যে অভিযোগ তুলে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করছে, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য ১ সাংবাদিক কে ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির মামমা করেছি। আমার কাছে সকল তথ্য উপাত্ত রয়েছে। কোন খাতে কি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কোথায় কি খরচ করেছি, আমি ১ বছর নড়াইলে যোগদানের পর শিল্প কলার বিভিন্ন খাতে ব্যয় করেছি যা দৃশ্যমান।আর গণজাগরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর ২ লক্ষ টাকা আমি তুলিনি। এ বিষয়ে, শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত সাথী দাশ বলেন বর্তমান যে স্যার এসেছে প্রথমে তিনি একজন ভালো মানুষ, তিনার নামে যে অভিযোগ এসেছে সেটা ভিত্তিহীন, আগে শিল্পকলা একাডেমির বেহাল অবস্থায় ছিল। নিয়মিত ক্লাস হত না। নতুন স্যার আসার পর এখানে লেখা-পড়ার সুন্দর পরিবেশ হয়েছে এবং এখন নিয়মিত ক্লাস হয়। বিগত দিনে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৫ জনের মত, আর বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ জন। সব ছাত্র-ছাত্রীদের আইডি কার্ড, বছরে দুই বার পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আর উন্নয়ন যা করছে তা দৃশ্যমান। বিগত দিনের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক পরিচালিত অনিয়ম অডিট উল্লেখ করে শিল্পী ও উন্নয়ন পরিষদের ও টপ নাট্য সংস্থার সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, স্যার আগমনের পর অনেক স্বার্থন্বেষী মহলের ক্ষতি হচ্ছে। তাদের ধান্দা ছিল শুধু লুটপাট করে নিবে, এই স্যার এসে সেটা বন্ধ করে। তাই তিনার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এই স্যার আগমনের পর শিল্পকলা একাডেমির অবস্থা অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। শিল্পকলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবুজ শেখ বলে স্যারের নামে যে অভিযোগ তুলেছে এটা ভিত্তিহীন, দুর্নীতির কিছু দেখি না, এই স্যার আসায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, তিনি প্রতিটি স্কুলে স্কুলে গিয়ে ছাত্র- ছাত্রী দের বোঝায়, শিল্প কলা একাডেমির শিক্ষা কেন প্রয়োজন? ক্যাম্পেইন করে-করে ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবকদের বোঝাচ্ছেন। তার ফল বিগত দিনে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ছিল ৪৫ জনের মত, আর বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ জন। সীমিত সময় এসে যে উন্নয়ন করেছে তা দৃশ্য মান। এ ঘটনা বিস্ময় প্রকাশ করে সাংস্কৃতিক সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ মতীন বলেন, কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ হামিদুর রহমান এসেছে অল্প কিছুদিন। এত অল্প সময়ে দুর্নীতি করা সহজ নয়, আর তিনি ইচ্ছে করলেই দুর্নীতি করতে পারেন না। কারণ এর সাথে জড়িত থাকেন জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তাই বলছি সাংবাদিক সঠিক তথ্য না নিয়ে ভুল সংবাদ পরিবেশ করে নড়াইল কে ছোট করেছে,এর কোন যুক্তি নেই।, তিনি এসে যা করেছেন দৃশ্যমান, উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, কাজ শেষ হলে বলতে পারবো স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!