দুর্গেই দুর্গতি জাতীয় পার্টির, জয় পেয়েছে মাত্র ৩টি আসনে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দুর্গেই চরমভাবে ভরাডুবি হয়েছে জাতীয় পার্টির (জাপা)। নানা নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামীলীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেও নিজেদের পরাজয় ঠেকাতে পারেনি দলটির বেশির ভাগ প্রার্থী। বিশেষ করে নৌকা না থাকা ২৬টি আসনে সমঝোতার পরেও মাত্র ১১টিতে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টি। অন্য সব আসনের অধিকাংশতেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে সংসদের বিরোধীদলের প্রার্থীদের। আসন সমঝোতার ২৬ আসনের মধ্যে রংপুর বিভাগে ৯টি আসনের ব্যালটযুদ্ধে আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া নৌকাবিহীন আসনে লড়াই করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। তারা হলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে এ কে এম মুস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম পাটোয়ারী ও গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার। নয় প্রার্থী মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন রংপুর-৩ আসনে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং কুড়িগ্রাম-১ আসনে এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। বাকি ছয়জনের কেহই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি। এসব আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন জাপা প্রার্থীরা। রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৩টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। জয় পাওয়া এ তিনটি আসনে নৌকা প্রতীক না থাকায় দলের অস্তিত্ব রক্ষা পেয়েছে, তবে বাকিদের জামানত হারানোর হিড়িকে দুর্গেই দুগর্তি ডেকে এনেছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদবিহীন এ দলের এমন পরিণতিতে ভবিষ্যত রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।