1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
জাবিতে ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ-র‌্যাব - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী রাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার চাঁপাইনবাবগঞ্জে কারফিউ চলমান ॥ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ বার্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মেই কারফিউ বহাল নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও এক জঙ্গি গ্রেফতার-অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার নরসিংদীতে জেল পলাতক ৪৪৯ কয়েদির আত্মসমর্পণ সিলেটে সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়-আমরা আদিবাসী’-নেত্রকোনায় আদীবাসী নেতৃবৃন্দ শুক্র ও শনিবার ঢাকাসহ ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল ৯ ঘণ্টা

জাবিতে ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ-র‌্যাব

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৮৯ বার পঠিত

জাবিতে ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ-র‌্যাব

দীর্ঘদিন ধরেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদক ব্যবসার আড়ালে এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। র‌্যাব জানিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। কারণ সেখানে বিভিন্ন সময় মাদক, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহিরাগতদের প্রবেশের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন বাহিনীটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
মঈন বলেন, এই ঘটনার পর ভিকটিমের স্বামী মামলা করলে র‌্যাব মামলার প্রধান দুই পলাতক আসামিকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মূল আসামি মামুন শুরুতে গার্মেন্টস পেশায় নিয়োজিত থাকলেও তার মূল ব্যবসা ছিল মাদক ব্যবসা। আর সেই ব্যবসার মূল ক্ষেত্র ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রেফতারকৃত মামুন প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে আসতো কক্সবাজার থেকে। এই ইয়াবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করতো সে। তিনি জানান, মামুনের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতারকৃতরা অনেকদিন থেকেই মাদক ব্যবসা করে আসছে। ভিকটিমের বাসায় সাবলেট হিসেবে বসবাস করতেন। ভিকটিম ও তার স্বামীর সঙ্গে মামুনের ৩ বছরের অধিক সময় ধরে মাদক ব্যবসার সম্পর্ক রয়েছে। তারা একসঙ্গেই একই বাসায় থাকতেন। ভিকটিমের স্বামী মামুনকে মাদক ব্যবসায় সাহায্য করতেন।
মঈন বলেন, প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ বার এভাবে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসতো মামুন। জুতার ভিতরে ও মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংকে করে প্রতিবার ২ থেকে আড়াই হাজার পিস ইয়াবা আনতো সে। এরই ধারাবাহিকতায় এই মাসের ২ তারিখেও ২ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা সে নিয়ে আসে ক্যাম্পাসে। কিন্তু বাসায় এতো মাদক রাখা নিরাপদ না ভেবে মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১৭ নাম্বার হলে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে মামুন ভিকটিমের স্বামীকে বলে, ভিকটিমকে মামুনের জামা কাপড় নিয়ে হলে আসতে। তখন ভিকটিম মামুনের জামা কাপড় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন। এরপরেই মামুন ও মোস্তাফিজ ভিকটিমকে নিয়ে কৌশলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্জন এলাকায় ভিতরে নিয়ে যায় এবং সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
মঈন বলেন, এরপরে তারা রুমে গিয়ে ভিকটিমের স্বামীকেও ভয়ভীতি দেখায়। এই ঘটনার সূত্র ধরে তাদের মধ্যে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। সিসিটিভি ফুটেজে ভিকটিমের স্বামীকে ভিকটিমের সামনে মারধর করতেও দেখা যায়। এরপরই তারা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব মামুন ও তার সহযোগী মুরাদকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মামুনের বিরুদ্ধে কতটি মামলা ও কী ধরনের মামলা রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, মামুন মাদক মামলায় ৪ বারের অধিক কারাভোগ করেছে। তার নামে ৮টির অধিক মাদক মামলা রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগরের বটতলাকে কেন্দ্র করে তিনি ও তার লোকজন মাদকের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি করেছেন। তবে নারী নির্যাতনের মামলা এটিই প্রথম। তিনি বলেন, তবে মামলা প্রথম হলেও মামুন এই ধরনের অপকর্ম আগেও করেছে বলে স্বীকার করেছে। এই ধরনের অপকর্ম তারা আগেও অনেক করেছে। সে নিজেও আগে এমন অনেক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি অনেক সিনিয়র শিক্ষার্থীদের জন্য মাদক ব্যবসার আড়ালে নারী ধর্ষণের ঘটনায় তার সম্পর্ক রয়েছে। ভিকটিমদের ভয়ভীতি দেখানোর কারণে ও সমাজের কাছে লজ্জায় তা অনেকেই প্রকাশ করেনি। এমন তথ্যও আমরা পেয়েছি।
তিনি বলেন, শুধু মামুন নয়, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আরো অনেকেই এমন অনৈতিক ও মাদকের মতো অপকর্ম নিয়মিত করছেন। আমরা বেশ কিছু নাম পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ৩১৭ নাম্বার রুমকে তারা গেস্ট রুম হিসেবে ব্যবহার করে এসব অপকর্ম করে আসছে বলেও জানা যায়। মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন ঘটনা খুবই নেতিবাচক। শুধু জাহাঙ্গীরনগর নয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আসলে কেমন তা নিয়েও এখন চিন্তার বিষয়। মামুনের মতো লোকজন নিজেরা অপকর্ম করার জন্য এই ধরনের কাজ করছেন। আমাদের অভিভাবক, শিক্ষক সমাজ ও গণমাধ্যমদের এই বিষয়ে কঠোর ভূমিকা নেয়া উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!