চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আরামবাগ চরজোতপ্রতাপ এলাকায় ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদের ক্রয়সূত্রে মালিকানাধীন জমিতে প্রতিবেশীদের বাড়ীর ময়লা আবর্জনা ফেলে বর্জখানা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চরজোতপ্রতাপ মৌজার জে.এল নং-১১৮, খতিয়ান (প্রস্তাবিত)৯৮/ অংশ, দাগ নং-১৭১৯,জমির পরিমান .০৯৯৮ একর। গত ১৯৮৭ ইং সালে ক্রয়সূত্রে উল্লেখিত তফসিল ভূক্ত সম্পত্তির মালিকানা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদ।
জমি খরিদের পর জমি দাতার নিকট থেকে সীমানা বুঝিয়ে নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদ অন্য স্থানে বসবাস করার সুযোগে তার ক্রয় কৃত জমির সিমানা প্রাচীরের মধ্যে স্থানীয় বসবাসকারী প্রতিবেশীরা তাদের বাড়ীর ময়লা আবর্জনা ফেলে জমি ও আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রায় ৫ বছর থেকে এ বীর মুক্তিযোদ্ধার জমির সীমানা প্রাচীরের মধ্যে বর্জ্য ফেলে এবং সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে পার্শ্ববতীরা। ময়লা আবর্জনার চাপের কারেনে এর আগে আর তিন বার ইটের সীমানা প্রচীর ভাঙ্গে।
অবশেষে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়রের কাছে লিখত আবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদ। আবেদনের প্রেক্ষিতে পুণরায় সীমানা নির্ধারন করা হয় এবং নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। বর্তমানে আবারো তার জমিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এবং ইটের গাঁথুনি প্রাচীর ভাঙ্গছে ওই সব প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদ। এব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ১৯৮৭ সালে এ জমিটা আমার সহধর্মিণীর দুলা ভাইয়ের মাধ্যমে খরিদ করেছি। কিন্তু এখানে বাড়ী করতে পারিনি, আর এ সুযোগে আমার জমিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে ডাস্টবিন বানিয়েছে প্রতিবেশীরা। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বিচার কার কাছে পাবো, আর কার কাছে দিবো।
আমি ইঁটের সীমানা বাউন্ডারি নির্মাণ করি টাকা খরচ করে, আর তারা ৬ মাস ১ বছর পরে ভেঙ্গে দিচ্ছি এ ভাবে। আমি নিজে একজন আইনজীবী হয়েও আইনী কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনা, তার কারন মানুষ বলবে নিজে উকিল তাই এভাবে মানুষের সাথে ব্যবহার করছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি জানান, আমার জমিতে যেন আর কোনদিন কেউ ময়লা আবর্জনা ফেলে ডাসবিন বানাতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেয়ার।