আমের রাজধানী চাঁপইনবাবগঞ্জের নাচোলে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে প্রত্যাশিত আমের মুকুল। প্রায় সবখানেই চোখে পড়ছে মুকুলে ছেয়ে যাওয়া অসংখ্য আমগাছ। ফাগুনের এ মৌসুমে গাছে-গাছে প্রস্ফূটিত আমের মুকুল সর্বত্র ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী আভা। এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আগুন ঝরা ফাগুনে গাছে গাছে জেগে উঠছে সবুজ পাতা। প্রকৃতির পালা বদলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম গাছগুলোতে মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ-মৌ করছে প্রকৃতি। আমাদের মনে পড়ে রবীদ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সঙ্গীত এর সেই চরণটি “ওমা ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগলো করে।” আম চাষী ও বাগান মালিকরা বলছেন, মাঘের মাঝামাঝিতে গাছে মুকুল দেখে তারা বুঝেছেন আমের মৌসুম এসে গেছে। বাগানের গাছগুলোর যত্ন নিতে পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন। ভালো ফলনের আশায় বাগান পরিচর্যায় এখনো ব্যস্ত তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ছোট গাছ কিংবা বড় গাছেও দেখা মিলেছে মুকুল ও প্রায় সব জাতের আমগাছেই মুকুল, যার সৌন্দর্য চোখ জুড়ানো। আমগাছের শাখায় উজ্জ্বল সোনালী মুকুল যেন আকাশের বুকে ডানা মেলে দিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে বাংলাদেশের মানুষ বলে থাকে আমের রাজধানী বা আমের দেশ। দেশের যেকোন প্রান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কথা উঠলেই আম নিয়ে কথাটি সবার আগে উঠে আছে। সবুজে ভরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মুকুলে ছেয়ে যাওয়া আমগাছগুলো আলাদা শোভা ছড়িয়েছে। সবুজ পাতার কিনার ছাঁপিয়ে ওঠা মুকুলের সোনালী রেণু যেন ফুলশয্যা সাজিয়ে স্বাগত জানিয়েছে বসন্তকে। বছরের এই একটি ফল উৎপাদনে মুখিয়ে থাকে এ জেলার আম চাষিরা। যদিও সারাবছর ধান, গম, সরিষাসহ অন্যন্য ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত থাকে চাষিরা, তথাপি আমের মৌসুমে তারা বাড়তি আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন আম চাষে। এবারও আশার প্রতিফলন ঘটবে আমচাষে, এমনই আশা করছেন উত্তর জনপদের আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী।