তিন দফা দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে জেলা সড়ক পরিবহন ঐক্য পরিষদ। বুধবার ভোর ছয়টা থেকে পুরো জেলায় শুরু হয় এ ধর্মঘট। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে নগরের সড়কগুলো ফাঁকা। মাঝেমধ্যে দু–একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া চলাচল করছে মোটরসাইকেল ও রিকশা। শ্রমিকরা জানান, সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সংকট দূর করা, রাজনৈতিক বিভিন্ন মামলায় শ্রমিকদের মুক্তি ও ২০২১ সালে নগরীর চৌহাট্টায় শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তাদের। এ দাবি মেনে না নিলে বৃহস্পতিবার থেকে পুরো বিভাগজুড়ে ধর্মঘট করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ময়নুল ইসলাম জানান, সিলেটের সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে প্রতি মাসের ২০ থেকে ২২ তারিখ আসার পর গ্যাসের লিমিট শেষ হওয়ার কথা বলে বন্ধ রাখা হয়। এতে পরিবহন শ্রমিকেরা বিপাকে পড়েন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিবহন শ্রমিকদের যানবাহন নিয়ে রাস্তা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এর ফলে পরদিন কাজে যোগ দিতে পারছেন না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরপরও এর কোনো সুরাহা হয়নি। তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে সিলেট নগরের চৌহাট্টা স্ট্যান্ড নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই ঘটনা আপস-মীমাংসার পরও মামলা চলমান। সেই মামলার সমাধান চান তারা। অন্য দাবির মধ্যে পরিবহন শ্রমিকদের রাজনৈতিক মামলায় বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেখা গেছে, যে শ্রমিক ঘটনাস্থলে ছিলেন না, তাকেও মামলার আসামি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর ওই শ্রমিককে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এসব মামলায় গ্রেপ্তার শ্রমিকদের জামিন চাচ্ছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে প্রতি মাসের ১৮-২০ দিন পর থেকেই ‘লিমিট’ শেষ হয়ে যায় সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত গাড়িগুলোর চালক। সড়কের যানবাহন কম চলাচল করায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণরা।