চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বারইপাড়া গ্রামে আমবাগানের মাটি কাটতে না দেয়ায় মাটি খেকো চক্রের সদস্যরা জমির মালিককে হুমকি দিয়েছে। জমির মালিক বারইপাড়া গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোঃ জিয়াউর আমাকে নানা প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে আমার আমবাগানের মাটি এক্সকাভেটর (ভেকু) দিয়ে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার জন্য তিন বছর আগে সাড়ে তিন লাখ টাকায় ক্রয় করে। সে সময় কিছু মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে। এখন আবার বাঁকী মাটি কাটা শুরু করলে এসিল্যান্ড তাদের ধরে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, জরিমানার কদিন যেতে না যেতেই আবার মাটি কাটা শুরু করে। মাটি কাটতে বাধা দিয়ে সরকারি অনুমতি নিয়ে আসতে বলি। তারা আমাকে বলে চেয়ারম্যানের কাছে অনুমতির কাগজ আছে। চেয়ারম্যানকে ফোন করলে তিনি বলেন, ওদের কাছে অনুমতি না থাকলে মাটি কাটতে পারে? বলে আমাকে জানান। নুরুল ইসলাম আরও জানান, আমি ১০ মার্চ উপজেলা ভূমি অফিস গিয়ে মাটি কাটার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে এসিল্যান্ড অফিসে না থাকায় অনুমতির বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। ফলে আমার জমির মাটি কাটতে বাধা দিয়েছি। এখন মাটি কাটা চক্রের মূলহোতা জিয়াউর হুমকি দিয়ে বলেন, মাটি কাটতে না দিলে ৫ লাখ টাকা আদায় করবে।
এ ব্যাপারে জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসিল্যান্ড অফিসে আবেদন করেছি। এসিল্যান্ড অফিসের অনুমতি নিয়ে মাটি কাটছি। দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক চুটুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অনুমতি দেয়নি। তাঁদের মাটি কাটার বিষয়ে অনুমতি আছে কি না তাও জানিনা। এটা এসিল্যান্ড অফিস ভালো বলতে পারবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) মোসাঃ আঞ্জুমান সুলতানা বলেন, জমির মালিক অভিযোগ করলে যাচাই বাছাই করে দেখবো। প্রতিবেদককে বলেন, আপনারা বললেই তো আমি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবোনা।