নাটোরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশের চাকরি পেলেন ৪২ তরুণ-তরুণী। এ চাকরি পেতে অনলাইনে জনপ্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা। কোনো রকম তদবির ও অর্থ লেনদেন ছাড়াই বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়েছেন। পরিবারের সদস্যরাও হয়েছেন খুশিতে আত্মহারা। শনিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। সম্পৃর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৩৬জন পুরুষ ও ৬ জন নারী প্রার্থী নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক চৃড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।নির্বাচিতদের নাম ঘোষণার মুহূর্তে পুলিশ লাইন ড্রিলশেডে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় কৃতকার্যরা উল্লাস করেন আর শেষ ধাপে এসে বাদ পড়ারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুলিশে চাকরি পাওয়া মোছা. মাছুমা আক্তার সুমা জানান, আমার বাবা একজন প্রতিবন্ধী। তিন বোনের মধ্যে আমিই ছোট। অনলাইনে ১২০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেছিলাম। আর কোনো টাকা লাগেনি। কখনো ভাবতেই পারিনি আমার এভাবে চাকরি হবে। আজ আমি অনেক খুশি।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৮ জনের মধ্যে ৪২ জনকে প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। ৩ জনকে অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন তাদের জন্য সামনে আরও সুযোগ রয়েছে। এসময় সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব সঙ্গে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, নাটোরে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরির জন্য প্রথম ধাপে ২২৭৫ প্রার্থী জন অংশগ্রহণ করেন। যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৮৮ জন। উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার ভেতর ৩৬ জন পুরুষও ৬ জন নারীসহ মোট ৪২জন প্রার্থী নিয়োগ বোর্ডে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।