চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ছাত্রলীগের ৮/১০ জন নেতা-কর্মী গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মাধাইপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে পক্ষ-বিপক্ষ হওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাঙাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রজনাথপুর গ্রামের শরিফুল ও ফরহাদ যৌথভাবে আম ব্যবসা করে। এক পর্যায়ে ফরহাদ শরিফুলের নিকট কিছু টাকা পাওনা রয়ে যায়। ওই টাকা বেশ কয়েকবার চাওয়ার পরেও শরিফুল ফেরত না দেওয়ায় ফরহাদ বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতাদের জানায়। ফলে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী ও রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দুরুল হোদা, ছাত্রলীগ নেতা জহরুল, সাকিল, মোস্তাকিম সহ বেশ কয়েকজন মাধাইপুর মোড়ে শরিফুলের ভাই শারিফুল ইসলাম সাদ্দামের আমের আড়তে আসে।উভয় পক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী সাদ্দামকে চড় মারে। এবং তাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য টানা হেঁচড়ে করে। সাদ্দামের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন একত্র হয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর শুরু করে। মারধরের বিষয়টি এক পর্যায়ে গণপিটুনিতে রুপ নিলে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার সহ কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসে। তবে কলেজ সভাপতি দুরুল হোদা সহ আরো একজনকে জনতা আটক করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার জামান আনসারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ফরহাদ কর্তৃক শরিফুলের কাছে টাকা পাওয়ার বিষয়টি সমাধান করার জন্য আমি কয়েকজনকে সাথে করে মাধাইপুর মোড়ে গিয়েছিলাম। সেখানে বাংগাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আম আড়ৎদার শারিকুল ইসলাম সাদ্দাম উপস্থিত ছিল।এক পর্যায়ে জোরাজোরি হলে উৎসুক জনতা মারমুখী হয়। ফলে আমরা সেখান থেকে চলে আসি। গোমস্তাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, মাধাইপুর মোড়ে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে আমি জেনেছি। তবে বিষয়টা পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য এক পক্ষ হয়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ওখানে গিয়ে ঝামেলা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে জনগণের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে আসে। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে।