অর্থ পাচার মামলায় কারাগারে থেকেই ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সামচুল আলম চৌধুরী। বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে তাকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। ফরিদপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ জানান, সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হাসান টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট। ফরিদপুর কোতয়ালী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার আসামি।এ মামলায় নির্বাচনের আগের দিন মঙ্গলবার তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে জানার পরই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জামিনের আবেদন আসামিরা। শুনানি শেষে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মো. নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে সামচুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ফরিদপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ আরও জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার ৪ লাখ ৮ হাজার ৬৮০ জন। চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট দিয়েছেন ৩০ শতাংশের একটু বেশি ভোটার। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে, কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।