সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত আব্দুল আলিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চাঁন মিয়া, হাজী আবুল হোসেন ও রাশেল নামে তিন জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। নিহত আব্দুল আলিম (৫০) কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার হায়দার আলীর ছেলে। গত ৮ মে ফলাফল ঘোষনার আগেই রাত সারে ৭টার দিকে মোটর সাইকেল প্রতীক সমর্থক আব্দুল আলীমকে কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে ফেলে যায় দোয়াত কলমের সমর্থকরা। আব্দুল আলীমের অবস্থা অবনতি হলে প্রথমে বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করে সেখান থেকে খাঁজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রবিবার (১২ মে) রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে ভোর ৩টায় দিকে তিনি রাস্তায় মারা যায়। এলাকাবাসী জানায়, চাঁন মিয়া একজন সন্ত্রাসী, তার আত্যাচারে অতিষ্ট আমাদের গ্রামের মানুষ। তাকে কোন ভাবেই থামানো যেত না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গেলেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। আমরা কোথায় গেলে বিচার পাবো। এই যে মারধর করে মেরে ফেললো আবার জামিনে হয়তো মুক্ত হবে, কিন্তু আমরা যারা এখন কথা বলছি তাদেরও সমস্যা করতে পারে। দেশে কি বিচার নাই গরীব মানুষের। নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল খালেক জানান, আব্দুল আলীম মোটর সাইকেল প্রতীকের নির্বাচন করতেন। আরেক চাচাতো ভাই চাঁন মিয়া করতেন দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বচন। নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু নির্বাচনে যে প্রতি হিংসার জন্য নিজের আপন চাচাতো ভাইকে এমন ভাবে মারধর করে মেরে ফেলবে তার কে জানতো! আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, নির্বাচনের দিন এশার নামাজের আগে চাচাতো ভাইদের মধ্যে নির্বাচনি ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হলে আলিম আহত হয়ে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে।