1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
যমুনায় ভাঙন ॥ বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-জমি ॥ হুমকিতে বিভিন্ন স্থাপনা - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশীদের হোটেলে থাকতে দিচ্ছেনা ভারত- ভারতের মালদায় হোটেলে থাকতে দেয়া হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশিষ্ট এক ব্যবসায়ীকে ॥ ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও শিশুদের উপর সহিংসতা প্রতিরোধে পরিকল্পনা সভা বিএনপির উদ্যোগে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদান ভারত থেকে ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুবক নিখোঁজ অবৈধদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৫৩ বিজিবি’র অভিযানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মদসহ আটক এক ভালুকা মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা বকশীগঞ্জে বিভিন্ন মাদ্রাসায় দুম্বার মাংস বিতরণ লালমনিরহাটে দুই শ্রমিক গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১০ খুলনায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

যমুনায় ভাঙন ॥ বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-জমি ॥ হুমকিতে বিভিন্ন স্থাপনা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪
  • ৮২ বার পঠিত

যমুনায় ভাঙন ॥ বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-জমি ॥ হুমকিতে বিভিন্ন স্থাপনা

বর্ষা মৌসুমের আগেই যমুনার ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। বিলীন হয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি-ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে এখানকার কমিউনিটি ক্লিনিকসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তারা জানলেও ভাঙন ঠেকাতে তাৎক্ষনিক কোনো ব্যবস্থা নেন নি।
জনসাধারণের সম্পদ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। জানা গেছে, উপজেলার হাঁটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের চর নাগদাহ, হাঁটাইল, আরালিয়া, চর সাঁড়াশি, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের লেওলাই পাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম যমুনা নদীর তীরে। জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই এসব গ্রামে দেখা দিয়েছে যমুনা নদীর ভাঙন। গত দুই সপ্তাহে লেওলাইপাড়া গ্রামে অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি ও চর সাঁড়াশি গ্রামে ১৫-২০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসবাসের শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। নতুন ভারেঙ্গার লেওলাই পাড়ায় নদীপাড়ের ফসলি জমি কিছু সময় পর পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যমুনায় বিলীন হচ্ছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে এখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনা, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই এলাকায় মানুষের দিন কাটছে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায়। চর সাঁড়াশি ও চর নাগদাহ গ্রামের ভাঙন কবলিত অসহায় মানুষগুলো আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। অনেকেই আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। চর নাগদাহ গ্রামের কয়েকজন বলেন, নদী ভাঙনে আমি পাঁচবার বসতভিটাসহ প্রায় ১০ বিঘা জমি হারিয়েছি। সপ্তাহ খানেক আগে আবারও বসতভিটা হারিয়েছি।
প্রতি বছরই বর্ষাকালে আমাগেরে চরের মানুষ নদী ভাঙনে বাড়িঘর জমি হরায়। এবার আবার এই অসময়ে নদীতে ভাঙন শুরু হইছে। কয়দিন আগে আমার দুই বিঘা বোরো ধান ও এক বিঘা তিল ক্ষেত নদী গিলে খাইছে। সব মিলিয়ে আমি প্রায় ১০ বার এ নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছি। সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে এই নদী। নতুন বাড়ি করেছি, এক সপ্তাহ এই ভাঙন থাকলে এটাও হয়তো চলে যাবে। সরকারের কাছে আবেদন নদীতে যেন অন্তত বালির ব্যাগ ফেলে আমাদের রক্ষা করে।
নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে আমার ইউনিয়নের লেওলাইপাড়া গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এই কয়দিনেই অর্ধশতাধিক ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ‘মুজিব বাঁধ’ নামের প্রধান বাঁধসহ সরকারি স্কুল, কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসাসহ ঘনবসতি দুই তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার বসতবাড়ি। এ বিষয়ে পাউবোর পাবনার কর্মকর্তা জানান, যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো রক্ষায় অতি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!