সিরাজগঞ্জে ট্রাকের পেছনে সিএনজির ধাক্কায় এক মাদ্রাসার ছাত্রসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ঝরনা রানীকে ঢাকার একটি হাসপাতাল ও সিএনজি চালক শাহ আলমকে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতেরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের মুক্তারগাতী গ্রামের আবু তালহা আনছারীর ছেলে ও মাদ্রসার ছাত্র সাদ আহমেদ (২০) এবং রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের হাট পাঙ্গাসী গ্রামের জগেস চন্দ্র বশাকের ছেলে মহাদেব বশাক (৬৫)। হাসপাতালে নিহতের স্বজনরা বলেন, রাত ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের কাঠেরপুল সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে একটি সিএনজি যাত্রী নিয়ে রায়গঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সিএনজি টি সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের আলোকদিয়ার এলাকায় বালুবাহী একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে যায়। এতে সিএনজি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজির চালকসহ চার যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাদ আহমেদ ও জগেস চন্ত্র বশাককে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত চার জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে সাদ ও মহাদেবের হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়। আহত দুজনের মধ্যে ঝর্ণা রানীর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান চিকিৎসক। অন্যজন সিরাজগঞ্জে চিকিৎসাধীন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের আলোকদিয়ার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত দুজনের মধ্যে ঝর্ণা রানীর অবস্থা আশংকাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং অন্যজন সিরাজগঞ্জে চিকিৎসাধীন।