পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আটঘরিয়া থানার ওসিকে অপসারণে দাবিতে আগামী বুধবার (১২ জুন) আটঘরিয়ায় অর্ধদিবস হরতাল ঘোষণা করা হয়। রবিবার বেলা ১১টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আটঘরিয়া বাজার হয়ে থানার সামনে দিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় টায়ার জ্বালিয়ে পাবনা-চাটমোহর মহাসড়ক অবরোধ করেন নেতাকর্মীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, নির্বাচনের দিন আমি বিভিন্ন কেন্দ্র কেন্দ্র ঘুরে নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম কিন্তু আমাকে নির্বাচনের দিন প্রতিপক্ষের অফিস ভাংচুরের আসামি করা হলো, তাও ১০ দিন পর! আটঘরিয়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুয়েলের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর এবং নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করা হলো, তারা এখনো হাসপাতালে ভর্তি। সেই জুয়েলের নামে যখন মামলা দেয়া হলো, সেই জুয়েলের অভিযোগের ভিত্তিতে আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হলো। আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলাকে প্রভাবিত করতেই আমার নামে এই মিথ্যা মামলা দেয়া হলো। এব্যাপারে আটঘরিয়ার থানার ওসি হাদিউল ইসলাম বলেন, আমার অপসারণের বিষয়টি তাদের রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে। কেন তারা আমার অপসারণ চাচ্ছেন তার সুস্পষ্ট কারণ যদি উল্লেখ্য করতে পারেন তাহলে আমি আপনাদের সেই বিষয়ে বলতে পারবো। আমি চেইন অফ কমান্ডে কাজ করি। তাই আমি বিশ্বাস করি- আমি যে কাজগুলো করেছি তার যথাযথ আইন দিকগুলো মেইনটেন করেই করেছি। উল্লেখ্য, গত ৩ জুন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী প্রার্থী তানভীর ইসলামের ৫ সমর্থককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠে। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এঘটনায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক জুয়েলসহ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের পর গত শনিবার (৮ জুন) প্রধান অভিযুক্ত জুয়েলের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামসহ কয়েক জনের নামে নির্বাচনের দিন জুয়েলের কার্যালয় ভাংচুরের মামলা দায়ের হয়।