1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
পবিত্র ঈদুল আযহা’কে সামনে রেখে জয়পুরহাটের কামার পল্লী টুংটাং শব্দে সরগরম - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

পবিত্র ঈদুল আযহা’কে সামনে রেখে জয়পুরহাটের কামার পল্লী টুংটাং শব্দে সরগরম

নিরেন দাস-জয়পুরহাট
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • ৪৯ বার পঠিত

পবিত্র ঈদুল আযহা’কে সামনে রেখে জয়পুরহাটের কামার পল্লী টুংটাং শব্দে সরগরম

জয়পুরহাটের সদর উপজেলাসহ পাঁচটি উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কামারের দোকানগুলোর টুংটাং শব্দে সরগরম হয়ে উঠেছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এমন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কামাররা। নাওয়া-খাওয়া ভূলে গিয়ে অবিরাম কাজ করছেন তারা। আগুনের শিখায় লোহা পুড়িয়ে তৈরি করা হয় এসব ছুরি, দা, বঁটি, চাপাতি-যা পশু কোরবানির পাশাপাশি মাংস কাঁটার জন্য। এসব কিনতে কামারের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ক্রেতাদের অভিযোগ, এবছর এসব সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। দামের বিষয়টি নিয়ে কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ শিল্পের প্রধান উপকরণ লোহা, ইস্পাত ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় কামাররা এখন বিড়ম্বনায় পড়েছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখতে পায়, দূর থেকে পাওয়া যাচ্ছে হাঁপরের হাঁসফাঁস আর হাতুড়ি পেটার টুংটাং শব্দ। লোহার হাতুড়ি পেটায় ছড়াচ্ছে সফুলিঙ্গ। সেখানে যেন দিন-রাত, অবিরাম চলছে কাজ আর কাজ। কামাররা জানান, বছরের এগারো মাসে তাদের ব্যবসা হয় এক রকম আর কোনবানির ঈদের আগের এক মাসে ব্যবসা হয় আরেক রকম। উপজেলার কয়েকজন কামারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, স্প্রিং লোহা {পাকা লোহা) ও কাঁচা লোহা সাধারণত এ দুই ধরনের লোহা ব্যবহার করে এসব উপকরণ তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দাম ও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামুলক ভাবে কম এ্যাঙ্গেল, রড, স্টিয়ারিং, রেললাইনের লোহা, গাড়ির পাত ইত্যাদি অনেকে লোহা কামাদের কাছে এনে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে। এর মজুরিও লোহা ভেদে নির্দ্ধারন করা হয়। বেশির ভাগ কামারদের কাছ থেকেই লোহা কিনে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে বা রেডিমেট বানানো জিনিস নিয়ে যায়, কামাররা জানান, লোহার মানভেদে একটি দা ৪ শত থেকে ৭ শত টাকা (পাকা লোহা) আর কাঁচা লোহার দা ৫ শত থেকে ৩ হাজার, কুড়াল ৬ শত থেকে ১১’শ, বটি ৩ শত থেকে ৮ শত, চাপাতি ৫ শত থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তবে দেশিয় এসব দা-বটির পাশাপাশি চায়না থেকে আমদানি করা বিভিন্ন মান ও আঁকারের ছুরি-চাপাতিও বাজারে অল্প দামে বিক্রি হচ্ছে বলে কামারদের ব্যবসা আগের মতো আর নেই। সদর উপজেলার কুটিবাড়ী গ্রামের সুবাস মহন্ত জানান, লোহা পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা আমার পেশা।বাপ দাদার পৈত্রিক সূত্রে আমি এই পেশায় জড়িত। একটি মাঝাড়ি ধরণের দা ও কাটারি তৈরি করে ওজন অনুযায়ী ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়।সারা দিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যে কয়টি জিনিস তৈরি করি তা বিক্রয় করে খুব বেশি লাভ না হলেও পরিবার-পরিজন নিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার স্বার্থে এই পেশা আমি ধরে রেখেছি। তবে সাড়া বছর কাজ-কর্মের ব্যস্ততা তেমন না থাকলেও কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে আমার কাজের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। সাড়া বছর এই রকম কাজ থাকলে ভালোই হতো।তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ পেশায় যারা জড়িত তাদের ঘুড়ে দাঁড়ানো সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!