চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে প্রায় ২ বিঘা আমন ধানের জমির বীজতলার চারা নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষরা উপজেলার নেজামপুর ইউপির রাওতারা গ্রামের মাঠে কৃষকের বীজতলার চারা নষ্ট করে দিয়েছে। এদিকে, ধান রোপণের আগ মূহূর্তে বীজতলার প্রায় সম্পূর্ণ চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ ঐ জমির মালিক। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ঐ জমির মালিকের।তবে অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জমির মালিক আসাদুজ্জামান সুমন জানান, উপজেলার নেজামপুর ইউপির রাওতারা মৌজার হাল দাগ ৩৪৩,৩৪৪,৩৪৫ এবং ৩৪৬ নং দাগের ৭ নং খতিয়ানে মোট ২ একর জমি পৈত্রিক ভাবে পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে শিবগঞ্জ উপজেলার নামো সুন্দরপুর গ্রামের তাসিকুল আলম সোনা হাজির ছেলে আসাদুজ্জামান সুমন।সম্প্রতি তিনি শ্রমিকের মাধ্যমে দুই বিঘা জমিতে বীজতলা বানিয়ে সেখানে চারা লাগিয়েছিলেন। আর ঐ চারা বড় করে তা দিয়ে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্য ছিল তার। কিন্তু গত সোমবার(১ জুলাই) দুপুরে হঠাৎ করে সদর উপজেলার নয়াগোলা ঘাটপাড়া গ্রামের নুরুল হোদার ছেলে রেজাউল এবং টাকাহারা গ্রামের হাবিবুর রহমান তাদের ভাঁড়াটিয়া লোকজন দিয়ে তার জমির আমন ধানের বীজতলার চারা জমির উপর দিয়ে পাওয়ার টিলার চালিয়ে নষ্ট করে দেয়। তাঁর দাবী, সম্প্রতি তাদের পৈত্রিক জমি নিয়ে দ্বন্দের জেরে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন থাকায় পুরো জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু রেজাউল এবং হাবিবুর রহমান মামলার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে আমার জমির বীজতলা নষ্ট করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে নায্য বিচার দাবি করছি এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুমনের শ্রমিক তরুন ষোষ জানান, তাদের মালিকের ২ বিঘা ধানের চারা নষ্ট করে দেয়ায় এখন কিভাবে বাকী জমিগুলোতে ধান রোপন করব তা নিয়ে শ্কংায়। এতগুলো আমনের চারা মালিকের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। ফলে চলতি মৌসুমে তাদের বেশ কিছু জমি পতিত ফেলে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রেজাউল কে ফোন করা হলে তিনি ভূল নম্বরে ফোন করেছেন বলে সংযোগ কেটে দেন এবং অপর অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান দাবী করেন নষ্ট হয়ে যাওয়া বীজতলা অভিযোগকারীর নয়, তাদের। উল্টো তিনি দাবী করেন সুমনই বীজতলা নষ্ট করে তাদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন, বীজতলা নষ্ট করার বিষয়ে মৌখিক শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।