কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আরিফুল ইসলাম বুশ (৩০) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আরিফুল ইসলাম বুশ মহিশকুন্ডি পূর্ব পাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গেলাম আলী সহ সকলে পলাতক রয়েছে। এই বিষয়ে নিহত যুবকের পিতা গোলাম মোস্তফা জানান, আমার ছেলে আরিফুল ইসলাম বুশকে একই গ্রামের গোলাম আলী, মোস্তফা, মিঠন হোসেনসহ আরও অনেকে বুধবার দিবাগত রাত অনুমানিক তিন টার পরে আমার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আমার ছেলেকে গাছে বেঁধে বেদম মারপিট করে। আমার ছেলেকে রাত ভর গোলাম আলীর বাড়ির ভেতরে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে। বৃহস্পতিবার বেলা অনুমানিক নয়টার দিকে গোলামের বাড়ির ভেতরে মারা যায়। তারা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করতে পারি নাই। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত গোলাম আলী আমার প্রতিবেশী, গতকাল রাত অনুমানিক তিন টার পরে গোলাম আলীর লোকজন আমিরুল ইসলাম বুশ কে চুরির অপবাদ দিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে গোলাম আলীর বাড়ির ভেতরে গাছে বেঁধে মারপিট শুরু করে। পরে আমিরুল ইসলাম বুশ’র চিৎকারে আম বাড়ি থেকে গোলাম আলী বাড়ির ভিতরে যায়। এই ভাবে মারপিট করতে নিষেধ করি। আমাকে গোলাম আলীর লোকজন নানা কথা বললে আমি সেখান থেকে চলে আসি এবং সকাল আনুমানিক আটটার পরে গোলাম আলীর বাড়িতে বুশ মৃত্যু বরণ করে। এই বিষয়ে ১ নং প্রাগপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশশাফুজ্জামান মুকুল বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে এসে ঘটনা শুনেছি। আমিরুল ইসলাম বুশ মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ আমাকে এই বিষয়ে জানাই নি। শুনলাম আমিরুল ইসলাম বুশকে চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বিষয়টি দুঃখ জনক। ঘটনাটি তদন্ত করে সঠিক বিচার হওয়া উচিত। এই বিষয়ে দৌলতপুর ভেড়ামারার অতিরিক্ত পুলিশ সুপান মহসিন আল মুরাদ বলেন, আমিরুল ইসলাম বুশ নামের এক যুবককের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।