বৃহস্পতিবারও হয়নি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা এবং ডিবি হেফাজত থেকে ছয় সমন্বয়কের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের একক বেঞ্চ বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। তবে বেঞ্চের আরেক কনিষ্ঠ বিচারপতি ছুটি থাকায় এদিন ডিভিশন বেঞ্চ বসবেন না। এজন্য এ রিটের শুনানি আজও হচ্ছে না। এর আগে বুধবারও (৩১ জুলাই) রিটের শুনানি হয়নি। বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ছুটি নেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানির দিন ঠিক ছিল। এ শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে হাইকোর্টের এ বেঞ্চে আইনজীবী ও সাংবাদিকরা ভিড় করেন। পরে জানানো হয় যে, বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি ছুটিতে আছেন। ফলে ডিভিশন বেঞ্চ বসবে না। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন-ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর লাইভ গুলি না চালাতে নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই (সোমবার) রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তারা হলেন আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।