1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
উত্তপ্ত সারাদেশ ॥ সংঘর্ষে আ’লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ নিহত ২৩ - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল নাটোরের গুরুদাসপুরে ডাকাতদের হামলায় গৃহকর্তা খুন ॥ ৩ ডাকাত আটক শিবগঞ্জে রানীনগর বি.এল স্কুলে অনিয়ম-বিশৃংখলার অভিযোগে বিক্ষোভ-মানববন্ধন ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে তিনদিন ব্যাপী নানা কর্মসুচি নিয়ামতপুরে আমনের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ॥ হতাশায় চাষিরা চাঁপাইনববাগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় হেরোইন উদ্ধার গোমস্তাপুরে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল সুপারস্টার গ্রুপের ইলেক্ট্রিশিয়ান দক্ষতা উন্নয়ন ওয়ার্কশপ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রথম জাতীয় লেখক উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত নিয়ামতপুরে খাস পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ২

উত্তপ্ত সারাদেশ ॥ সংঘর্ষে আ’লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ নিহত ২৩

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৬ বার পঠিত

উত্তপ্ত সারাদেশ ॥ সংঘর্ষে আ’লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ নিহত ২৩

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘অসহযোগ আন্দোলন’কে ঘিরে সারা দেশে সংঘর্ষ-সহিংসতায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এছাড়া বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সংঘর্ষে এই প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে রংপুরে ৪ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৩ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, ভোলায় ৩ জন ও বরিশাল, মাগুরা, জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জে একজন করে নিহত হয়েছেন।
রংপুর নগরীতে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হারাধন রায়সহ ৪ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮ সাংবাদিকসহ শতাধিক। গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত বাকি ৩ জন হলেন যুবলীগ কর্মী খসরু (তার বাড়ি রংপুর নগরীর গুড়াতিপাড়া), মাসুম (৩১) (তার বাবার নামসহ বিস্তারিত নিশ্চিত হওয়া যায়নি)। এ ছাড়া নিহত আরেকজনের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অপরদিকে, বদরগঞ্জ উপজেলা সদরে রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী, বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র টুটুল চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট, যুবলীগ নেতা পুলিন চৌধুরীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট হয়েছে। একইভাবে মিঠাপুকুর উপজেলার ইউএনও কার্যালয়, সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, প্রেস ক্লাবের সামনে রাখা ১১টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নগরজুড়ে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হন। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। গুলিবিদ্ধ একজন ঢাকায় আনার পথে সিরাজখানে মারা যান। নিহতদের বয়স ২২-২৫ বছর। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবু হেনা জামাল। মাগুরায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এ সময় সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। সকালে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়, রাবার বুলেট ও গুলি নিক্ষেপ করে। এ সময় নিহত হন রাব্বী। এছাড়া চবি শিক্ষার্থী ফরহাদ ও কলেজ শিক্ষার্থী সুমন নামের আরেকজন নিহত হন বলে জানা গেছে।
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সংঘর্ষে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩২ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া তত্বাবধানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকে।
ছাত্রদের আন্দোলন চলার সময় ওই সড়ক দিয়ে পাবনা সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ চেয়ারম্যান গাড়ী নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে অপদস্ত করলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এ সময় শিক্ষার্থী জাহিদু ইসলাম (১৯), মাহবুবুল হোসেন (১৬), ফাহিম (১৭) নামের তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
এ দিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে সাময়িক সময়ের জন্য বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মৃত্যুর খবর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও জ্বালাময়ী স্লোগানে তাদের অবস্থান প্রকাশ করে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে বগুড়ায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। বগুড়ার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাজারো বিক্ষোভকারী। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রাস্তায় আগুন দিয়েছে তারা। দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুন্নাহার বলেন, ১২ জন চিকিৎসা নিতে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যান। তার মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। মাথায় গুলি লেগে তিনি নিহত হয়েছেন। তার নাম মনিরুল ইসলাম (২৪)। অন্যদিকে আহত চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ওই হাসপাতালেও একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন এ এফ এম ওবায়দুল ইসলাম জানান, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। কুমিল্লার দেবিদ্বারে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে সিলেট আঞ্চলিক সড়কের বারেরা নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহতের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া কুমিল্লায় চান্দিনা ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ থানায় আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন পুলিশ আটকা পড়েছেন। বরিশালে মহানগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি টুটুল চৌধুরীকে রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বজনরা জানান, নগরের করিম কুটির এলাকায় আন্দোলনকারীরা আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় সেখানে থাকা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতা টুটুলকে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাধারণ সম্পাদক ডা. এ এস এম সায়েম জানান, টুটুলের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আর আঘাতগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যে মাথার খুলির ভেতরে থাকা অনেক কিছুই বাইরে বের হয়ে গেছে। এক কথায় রক্তক্ষরণ ও মাথায় আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে মেহেদী হাসান নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের জয়পুরহাট ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল থেকে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে থাকা সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাজা চৌধুরী, মীর মোয়াজ্জেম, মাহমুদ হোসেন হিমু, অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আ.লীগ নেতা হারুনোর রশিদ বলেন, দুপুরে থানা আওয়ামী লীগ অফিসে বসে থাকার সময় আন্দোলনকারীদের একটি অংশ হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। নিহত মেহেদী হাসানের মরদেহ কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে গুলিবিদ্ধ ১০ জনকে : রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১০ জনকে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা রাজধানীর কোথাকার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা জানা যায়নি। এছাড়া আহত অবস্থায় আরও দুজনকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আগুন, গাড়ি ভাঙচুর : রোববার সকাল থেকে শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী এবং আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা অবস্থান নিতে শুরু করেন। এরপরই কোথাও কোথাও ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রাঙ্গণে রাখা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়ে গেছে।
এ ছাড়া প্রায় একই সময় পুরান ঢাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়। সায়েন্সল্যাবে পুলিশ বক্সে ভাংচুর চালানো হয়েছে। মিরপুরের বিভিন্ন স্থানেও বিক্ষোভ হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ছাত্রলীগ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সায়েন্সল্যাবেও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, শনিবার কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। আর আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কর্মী জমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!